Online Earn, 2015 ~ Tech Live BD

Saturday, November 14, 2015

এবার পকেটের টাকা ইনভেস্ট না করেই ভিন্ন ভাবে বুদ্ধি খাটিয়ে ইনকাম করুন

 আজকে আপনাদেরকে অনলাইনে আর্নিং এর বিষয়ে কিছু পরামর্শ দিব। আশা করি টিউনটি সবাই ভালভাবে পড়বেন। আমরা সবাই ই অনলাইনে ইনকাম করতে চাই। কিন্তু দিকনির্দেশনার অভাবে সফল হতে পারি না। আমি আজকে একটু ভিন্ন কিছু আইডিয়া দিব। আমি আপনাদের বলবো এবার উদ্যোক্তা হবার জন্য প্রস্তুতি নেন। উদ্যোক্তা হতে গেলে তো টাকা ইনভেস্ট করতে হবে, সেই টাকা পাবো কই? এটাই তো মূল বিষয়। আমি আপনাদের পরামর্শ দিব আপনারা একটু দূর দৃষ্টি দিয়ে ভাবুন। ভেবে বের করুন কোন বিষয়ে বেশি ওয়েবসাইট নেই, কোন বিষয় কিছুদিন পর ব্যাপক জনপ্রিয় হতে পারে, কোন বিষয়ে আপনি ভাল বোঝেন। আপনি সেই বিষয়ে ওয়েবসাইট বানানোর চিন্তা করেন। সেজন্য আগে থেকেই ওয়েবসাইট এর কন্টেন্ট তৈ্রি করে কম্পিউটারে সেভ করে রাখুন যাতে পরে সেটি আপনার ওয়েবসাইট এ পাবলিশ করতে পারেন। এখন বলতে পারেন আমি কি পাগল হয়ে গেছি যে টাকা ছাড়াই ওয়েবসাইট বানানো নিয়ে চিন্তা করতে বলতেছি। থামেন ভাই আমি সেটা বলি নাই। আপনি আজকে থেকেই বিভিন্ন ছোট ছোট কাজ করার ওয়েবসাইট, ট্রাস্টেড পিটিছি ওয়েবসাইট, পিপিডি ওয়েবসাইট ইত্যাদিতে কাজ শুরু করুন। আগামি তিন মাস ঠিক মত কাজ করলে ৫০-৬০ ডলার কামাতে পারবেন। নাক সিটকাচ্ছেন? তিন মাসে মাত্র ৬০ ডলার? আরে ভাই ওই ৬০ ডলারের ১ ডলারও নষ্ট করবেন না। Godaddy অথবা ভাল কোন প্রভাইডার থেকে ডোমেইন হোস্টিং নিয়ে শুরু করে দিন নিজের সপ্নের ওয়েবসাইট। আর ওয়েবসাইট থেকে যে কত ভাবে ইনকাম করা যায় তা তো আপনারা জানেনই। ঠিক মত কাজ করতে পারলে, সততা ধরে রাখতে পারলে একদিন আপনিই হবেন টেকটিউনসের মত বিশাল ওয়েবসাইট এর মালিক। টেকটিউনসের ইনকাম কত তা কি আর বলতে হবে? ছোট ছোট বিষয়ই একসময় বড় হয়ে যাবে।
আমার জন্য দোয়া করবেন। আমি এই রকম কিছু ছোট ওয়েবসাইট এ কাজ করে নিজের জন্য একটি ওয়েবসাইট তৈ্রি করার দ্বারপ্রান্তে আছি। ১৫০ ডলারের মত ইনকাম করতে পারছি। কঠোর পরিশ্রম করছি। ১৫০ ডলার দিয়ে প্রিমিয়াম ডোমেইন, হোস্টিং নিয়ে ওয়েবসাইট তৈ্রি করতেছি। গত ৪ মাস কষ্ট করলাম এই টাকা জমাতে।

মাএ ১০ মিনিট কাজ করে ফ্রিতে রির্চাজ করুন ১০০ টাকা ছোট একটি এন্ড্রোয়েড এপ দিয়ে


আজকে আমি আপনাদের দেখাবো কিবাবে আপনার এন্ড্রয়েড ফোন দিয়ে ইন্টারনেট থেকে আয় টাকা আয় করবেন খুব সহজে এবং আয় করা টাকা সাথে সাথে আপনার মোবাইলে রির্চাজ করবেন। সামান্ন কিছু কাজ করে।চলুন তাহলে সুরু করা জাক
যা যা করতে হবে।
১/ এজন্য আপনাকে WHAFF Rewards নামে একটি সফটওয়্যার ডাউনলোড করতে হবে গুগুল প্লে স্টর থেকে মাএ 12 mb।
২/ডাউনলোড করে ফেসবুক আইডি দিয়ে লগইন করতে হবে। বয় পাবেন না  এটা আপনার ফেজবোক আইডির কোন ক্ষতি করবে না। আপনে চাইলে আপনার ফেক একটি আইডি ব্যবহার করতে পারেন।
৩/ফেজবোক আইডি দিয়ে লগিং করার পর আপনে welcome bonus পাবেন $ আর তারপর চাইবে, Enter Your Invitation code এর নিচে খালিঘরে(CH07419) লিখে বা লেখাটি কপি করে Enter your invition code  এ দিয়ে OK ক্লিক করুন। আপনার কাজ শেষ।আপনি সাথে সাথে পেয়ে যাবেন আরো ৫০ টাকার।  বি: দ্র:  এই code না লিখলে আপনি ৫০ টাকা  পাবেন না। তাই সাবধনতার সহিত code CH07419 টি লিখুন।
৪/WHAFF Rewards আপনাকে প্রতিদিন কিছু এপ  ডাউনলোড এর জন্য দিবে আপনে সেই এপ গুলা ডাউনলোড করলে টাকা পাবেন। জেমন কোন এপ ডাউনলোডে ১০ টাকা আবার কোনটা ১৫/২০ টাকা করে দেবে।এর চেয়ে বেসি দেয় আবার কম ও দেয়। আপনে এবাবে ও কামাতে পারবেন।
৫/ WHAFF Rewards এর সব চেয়ে বড় সুবিদা হলো এটা রেফারেল সিসটেম মানে আপনে কাউকে জয়েন করালে আপনে পাবেন ৫০ টাকা।লগইন করার পর আপনাকে একটিInvitation কোড দেওয়া হবে যেমন: CH07419 আপনার বন্ধুকে WHAFF Rewards এ invite করে আপনি প্রতি বন্ধুরকাছ থেকে পাবেন ৫০ টাক।আপনার বন্ধু আপনার invitation কোড দিয়ে লগইন করলেই তা আপনার WHAFF Rewards অ্যাকাউন্টে যোগ হয়ে জাবে।
/ডেইলী ফ্রি Rewards বোনাস,ঃ আপনে প্রতিদিন এপটি ওপেন করলে পাবেন ০.০১$ ডলার
৭/play bonusঃ WHAFF Rewards থেকে ডাউন লোড করা প্রতিটা এপ আপনে প্রতিদিন ওপেন করলে পাবেন ০.০১$ডলার।
৮/ rewards everyday একটা ওপসন আছে ওটাতে ক্লিক করলে পাবেন ০.০১$।
WHAFF Rewards এ পাবেন আরো অনেক সুবিদা
ওদের মিনিমাম পে আউট ১০০ টাকা
আপনে মন দিয়ে কিছু সময় কাজে করলেই ১০০ টাকা রিচাজ করতে পারবেন। জিবনে তো আনেক মেগাবাইট খরচ করেছেন এবার মাএ ২০ মেগাবাইট খরচ করে দেখেন।

নিয়ে নিন pc এর জন্য বাংলায় কথা বলা ঘড়ি

নিয়ে নিন বাংলায় কথা বলা ঘড়ি। আসসালামুয়ালাইকুম। আসা করি সবাই ভাল আছেন।
ইংরেজিতে কথা বলা ঘড়ি অনেক আছে কিন্তু যদি তা বাংলায় হয় ? হ্যা এটা একটা চমৎকার ঘড়ি, যা আপনার সেটিং সাপেক্ষে প্রতি ১৫ মিঃ / ৩০মিঃ / ৬০মিঃ পর আপনাকে বাংলায় বলবে ” এখন সময় সকাল দশটা বেজে ৩০মিঃ ” এমন।
BANGLA VOICE CLOCK

download

size: 625 kB
এটা একটা দারুণ ব্যাপার। অনেক ক্ষেত্রে এটা অনেক উপকারে আসে।
সবসময় সময় দেখা হয় না, ফলে কম্পিউটার বসলে অনেক জরুরী কাজে দেড়ি হয় ; কখনো বা টিভি প্রোগ্রাম মিস হয়। এটা থাকলে ঐ ঝামেলা আর থাকবে না।
কারণ যখন সময় এর কথা বলবে, তখনই আপনার ঐ সময়ে করণীয় কাজের কথা মনে পরে যাবে। আর অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে আছে আযান টাইম সেটিং এর বাবস্থা। যেটা সময় মত আযান দিবে।
এক কথায় দারুণ একটা সফটওয়্যার। যাদের দরকার নিচের লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিন। সাইজ একদম ছোট। ইন্সটল দিয়ে সহজেই সেটিং চেঞ্জ করতে পারবেন।

নিয়ে নিন pc এর জন্য বাংলায় কথা বলা ঘড়ি

নিয়ে নিন বাংলায় কথা বলা ঘড়ি। আসসালামুয়ালাইকুম। আসা করি সবাই ভাল আছেন।
ইংরেজিতে কথা বলা ঘড়ি অনেক আছে কিন্তু যদি তা বাংলায় হয় ? হ্যা এটা একটা চমৎকার ঘড়ি, যা আপনার সেটিং সাপেক্ষে প্রতি ১৫ মিঃ / ৩০মিঃ / ৬০মিঃ পর আপনাকে বাংলায় বলবে ” এখন সময় সকাল দশটা বেজে ৩০মিঃ ” এমন।
BANGLA VOICE CLOCK

download

size: 625 kB
এটা একটা দারুণ ব্যাপার। অনেক ক্ষেত্রে এটা অনেক উপকারে আসে।
সবসময় সময় দেখা হয় না, ফলে কম্পিউটার বসলে অনেক জরুরী কাজে দেড়ি হয় ; কখনো বা টিভি প্রোগ্রাম মিস হয়। এটা থাকলে ঐ ঝামেলা আর থাকবে না।
কারণ যখন সময় এর কথা বলবে, তখনই আপনার ঐ সময়ে করণীয় কাজের কথা মনে পরে যাবে। আর অতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে আছে আযান টাইম সেটিং এর বাবস্থা। যেটা সময় মত আযান দিবে।
এক কথায় দারুণ একটা সফটওয়্যার। যাদের দরকার নিচের লিঙ্ক থেকে ডাউনলোড করে নিন। সাইজ একদম ছোট। ইন্সটল দিয়ে সহজেই সেটিং চেঞ্জ করতে পারবেন।

Friday, November 13, 2015

এবার সাইট হ্যাক করুন আরও সহজে। কয়েকটি টুলস সম্পূর্ণ অনলাইনে ব্যাবহার করুন

আমার আগের এই টিউনে অনলাইন ডিডস টুল নিয়ে আলোচনা করেছিলাম। যদিও প্রোজেক্ট টা সফল করতে পারি নাই। তবে আশা রাখি কোন এক সময় হয়তো হবে।
আমার আগের সাইটে শুধুমাত্র অনলাইন ডিডস আট্যাক করার ব্যাবস্থা ছিল। কিন্তু আজকে আপনাদের জন্য নিয়ে আসলাম আরো কয়েকটা অনলাইন টুল। যা মেনুয়ালি করতে অনেক সময় সাপেক্ষ এবং কষ্টসাধ্যও বটে। আপাতত দুইটা টুল ব্যাবহার করতে থাকুন।
১। Online DDOS
২। Online SQL Injection
[ Online Admin Panel Finder, Online Hash Cracker সহ আরও টুল শীঘ্রই আসছে ]
এবং সেই সাথে আরেকটা কথা বলে রাখি, Human brain is advance than machine. আপনার ব্রেইন একটা যন্ত্রের চেয়ে অনেক বেশি শক্তিশালী। আপনি হয়তো টুলস ব্যাবহার করে খুব সহজে কাজটা করতে পারবেন, কিন্তু মেনুয়ালি করলে আরও বেশী গভীরে যাবেন। আর যত গভীরে যেতে পারবেন ততই শিখতে থাকবেন। তাই আমি আপনাকে কষ্ট হলেও অটোম্যাটিকের চেয়ে মেনুয়ালি করতে বেশী সাজেস্ট করব।
আগে যেহেতু ডিডস নিয়ে আলোচনা করা হইসে তাই আজ আর নাই বলি। কারো প্রয়োজন হলে আগের টিউন পড়ে নেন। আজকে অনলাইন SQL ইঞ্জেকশন দেখাবঃ
যে সাইট হ্যাক করতে চান সেটা অবশ্যই ভুলনারএবল হতে হবে। কিভাবে vulnerability বের করবেন সেটা আর নতুন করে বলার মত কিছু নাই। কারন SQL নিয়া আগে অনেক টিউন হইসে। লেটস স্টার্ট...
(আপাতত ফ্রী হোস্টিং ব্যাবহার করার কারনে মাঝে মাঝে সাইট সাসপেন্ড হতে পারে। দুইটা লিঙ্কের কোনটাই কাজ না করেলে পরে ট্রাই করবেন)
এবার চলেন শুরু করিঃ
১। প্রথমে http://darktools.ml (প্রবলেম হলে dtools.ml ) এই লিঙ্কে গিয়ে সাইড মেনুতে SQL-INJECTOR buttone ক্লিক করুন। এরকম একটা পেজ আসবে।
image1
২। এখানে চিত্রের মত URL বক্সে ভুলনারবল লিঙ্ক পেস্ট করেন। অবশ্যই স্ট্রিং (‘) ছাড়া।
যেমনঃ http://www.metahit.eu/index.php?id=24 এবং Search ক্লিক করে কিছুক্ষন অপেক্ষা করুন।
image2
৩। এভাবে চিত্রের মত যেতে থাকুন। একসময় ইউজারনেম পাসওয়ার্ড পেয়ে যাবেন।
image3
ব্যাস পেয়ে গেলেন ইউজেরনামে-পাসওয়ার্ড।

.tk ডোমেইন আর 000webhost এর দারুণ সংযুক্তি সম্পূর্ণ ফ্রি তে নতুনদের জন্য

রা ওয়েব ডেভেলপমেন্ট এর জগতে নতুন বা কাজ শিখছেন তাদের নানা কারণে একটা ওয়েবসাইট এর দরকার হয়। আর ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে অনেক সময় পেইড ডোমেইন বা পেইড হোস্টিং নেয়া সম্ভব হয় না। ফ্রি হোস্টিং নিতে গিয়ে ও অনেক সময় ঝামেলা পোহাতে হয়। তবে সমস্যা নেই এই পোস্ট আপনার জন্য । আমি .tk ডোমেইন আর 000webhost হোস্টিং এর সেটিংস দেখাব। ব্যপার টা সহজ আর সম্পূর্ণ ফ্রি তে হলে ও পেইড হোস্টিং এর বেশির ভাগ সুবিধাই পাবেন। আর হ্যাঁ এটা আমার প্রথম পোস্ট । ভুল হলে ক্ষমা করবেন । চলুন শুরু করা যাক।
প্রথমে my.dot.tk এখানে ক্লিক করে আপনার কাংক্ষিত .tk ডোমেইন নিয়ে নিন।

সাইন ইন করুন আপনার ইমেইল এ লগিন করার মাধ্যমে । একটা একাউন্ট দিয়ে আপনি একাধিক ডোমেইন ক্রিয়েট করতে পারবেন !!!

সাইন ইন করার পর উপরের দিকে ডোমেইন পেনেল থেকে Add a domain এ ক্লিক করুন। আপনার কাঙ্ক্ষিত ডোমেইন পাওয়া গেলে ফ্রি সিলেক্ট করে next চাপুন।

ক্রিয়েট করার সময় DNS এভাবে দিন কারন টা কিছুক্ষণ পরেই টের পাবেন।আর 12 months সিলেক্ট করুন ।আর কিছু করার দরকার নাই। next দিন।
এবার আপনার ডোমেইন এর হোস্টিং দরকার। হোস্টিং এর জন্য 000webhost এ ক্লিক করুন। ডান পাশ থেকে সাইন আপ অপশন পাবেন ।

আপনার ডোমেইন, নাম ইমেইল এড্রেস আর পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন আপ করে নিন। আপনার ইমেইল টা একবার দেখে নিন প্রয়োজনীয় তথ্য ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে। এরপর লগিন করুন।

আপনার ডোমেইন লিস্ট এ active লেখা দেখলে আপনার ব্রাউজার এর এড্রেস বার এ আপনার হোস্ট করা ওয়েবসাইট এর ঠিকানা দিয়ে এন্টার চাপুন। যদি আমার কথা মত কাজ করে থাকেন তবে একটা মেসেজ দেখতে পাবেন ” your website is running …. ” না আসলে আমাকে গালি দিবেন না, ৫-৬ মিনিট অপেক্ষা করুন।

তবুও না হলে my.dot.tk ওয়েব সাইট এ লগিন করে আপনার ডোমেইন পেনেল থেকে ডোমেইন Modify করুন। DNS সঠিক ভাবে প্রবেশ করান।
এখানেও আপনি একাধিক ওয়েবসাইট হোস্ট করতে পারবেন। আর প্রতিবারই আপনি 1500MB Space এবং 100GB Bandwidth পাবেন। ভাল পেইড হোস্টিং এ যার জন্য আপনাকে প্রায় ৫-৬ হাজার টাকা গুনতে হবে।কিন্তু তবুও পেইড এর সাথে ফ্রি এর তুলনা চলে না।লগিন করার পর উপরের দিকে create account বলে অপশন পাবেন। এতে ক্লিক করার পর আপনার ওয়েব সাইট এর ঠিকানা আর পাসওয়ার্ড দিয়ে দিন যেটা দিয়ে আপনি control panel এ প্রবেশ করবেন। ইউজার নেইম আপনাকে ইমেইল এ পাঠানো হবে।
ব্যস হয়ে গেল। আপনার ইমেইল ঠিকানা চেক করুন । ওয়েব সাইট সঙ্ক্রান্ত যাবতীয় তথ্য ইতিমধ্যেই পৌঁছে গেছে
এবার এই মেসেজ ডিলিট করার পালা। এর আগে আপনার বয়ফ্রেন্ড অথবা গার্লফ্রেন্ড দেখে ফেলে তাড়াতাড়ি ডিলিট করুন দেখলে মান সম্মান শেষ। মেসেজ টা ভাল মত পরলে উপায় টা বুঝতে পারবেন।

আপনার ইমেইলে পাঠানো ইন্সট্রাকশন অনুযায়ী ইউজার নেইম আর পাসওয়ার্ড দিয়ে ও control panel এ প্রবেশ করতে পারেন আবার একাউন্ট লিস্ট থেকে Go to control panel এ ক্লিক করে ও প্রবেশ করতে পারেন এক্ষেত্রে ইউজার নেইম অটো বসে যাবে শুধু পাসওয়ার্ড দিয়ে লগিন করবেন।

লগিন করার পর একটু নিচের দিকে File Manager এ ক্লিক করে public_html ফোল্ডারে প্রবেশ করুন।
index.php ফাইল টা ডিলিট করে দিন। হয়ে গেল। এবার আপনার ক্রিয়েট করা ওয়েব সাইট টা এইখানে এবং শুধু মাত্র এই ফোল্ডারেই আপলোড করুন। এবারে যেই পেইজ টা আপনি প্রথমে দেখাতে চান মানে আপনার http://www.domain.tk তে প্রবেশ করলে যেই পেইজ টা প্রথমে দেখাবে সেটা রিনেইম করুন index.html বা index.php দিয়ে। অবশ্য htaccess এডিট করে ও এটা ঠিক করা যাই।

পুনরায় এডসেন্স একাউন্ট খুলার কিছু হিডেন টিপস্‌

techlivebd.blogspot.com
প্রথমেই নতুন করে ওপারেটিং সিস্টেমটি (উইন্ডোজ) রি-ইনিস্টল করে নিন, ৭ থাকে ৮ কিংবা ৮ থাকলে ৭ ইনিস্টল করে কাজের এক ধাপ এগিয়ে যান। আই.পিঃ পারলে আপনি আপনার আই.পি. নাম্বারটি চেঞ্জ করে নিন। না পারলে তেমন সমস্যা হবে না। আমি নিজেও করি নাই। তবে ওভার কনফিডেন্ট এর জন্য করতে পারেন।
নামঃ অনেকে বলে এক নামে একাধিক একাউন্ট করা যায় না। আসলে কথাটা একদম ভুল। কারন পৃথিবীতে একই নামে লাখ লাখ লোক আছে। তাই নামে কোন সমস্যা নাই আপনি নিশ্চিন্তায় আপনার আগের নাম ব্যবহার করতে পারবেন।
ঠিকানাঃ অবশ্যই ঠিকানা পরিবর্তন করে দিবেন। আগে যেই ঠিকানা ব্যবহার করেছেন সেই ঠিকানা না ব্যবহার করাই উত্তম হবে। একদম নিরুপায় হলে আগের টার সাথে ঠিকানার আগ-পিছ করে পরিবর্তন করে নিন। যেমনঃ প্রথমটায় ছিল এইরকম (১৫/৭ যাত্রাবাড়ি, ডেমরা, ঢাকা) নতুন করে এইভাবে দিতে পারেন (যাত্রাবাড়ি ১৫/৭, ডেমরা, ঢাকা) এই ভাবে কিছুটা পরিবর্তন করে দিন।
মোবাই নাম্বারঃ অব্যশই মোবাইল নাম্বার পরিবর্তন করে দিবেন।
ব্রাউজারঃ অবশ্যই আপনি আপনার সকল ব্রাউজার রি-ইনিস্টল করে নিন। পোর্টেবল ব্রাউজার থাকলে তার সকল ক্যাশ ও কুকিজ ডিলিট করে নিন।
পুরাতন সাইটে এডস্‌ ব্যবহারঃ আপনি আপনার সকল পুরাতন সাইটে এডসেন্স এর এডস্‌ ব্যবহার করতে পারবেন। তবে আপনার যে সাইট টি এডসেন্স সরাসরি “সাইট ব্যান্ড” করে দিছে সেটাতে ব্যবহার করবেন না।

Web উদ্যোক্তা হিসাবে আপনাকে যে সকল বিষয় অবশ্যই জানতে হবে।

Web উদ্যোক্তা/ ইন্টারনেটে ব্যাবসা করতে গেলে যে বিষয়গুলো জানা দরকার এই বিষয়ের পূর্নাঙ্গ গাইড লাইন বাংলা কোন ব্লগে না থাকার জন্য অনেকদিন ধরেই লেখার ইচ্ছা ছিল কিন্তু সময়ের অভাবে লেখা হয়ে উঠছিল না। আসলে ভাল কোন কন্টেন্ট লেখা সত্যিই কঠিন কাজ। এর জন্য নিজেকে  অনেক পড়ালেখা করতে হয়। আমি কিছুদিন ধরে উদ্যোক্তা নিয়ে কাজ করছি, কিভাবে Web উদ্যোক্তা তৈরী করা যায়। কিন্তু আমাদের দেশে Web উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য যে পরিবেশ দরকার তা এখনও তৈরী হয়নি। বেশীর ভাগ মানুষের  চিন্তা হল পড়াশুনা করে Job করার। আবার অনেকে BBA  Complete করে Job করছে। এদের পড়াশুনা হল বিজনেস নিয়ে অথচ এরা নিজেরাই Job করছে। আমাদের দেশে ছোটবেলা থেকেই আমাদের জব এর জন্য মোটিভেট করা হয়। আমাদের দিয়ে লেখানো হয় কিভাবে চাকুরীর জন্য দরখাস্ত লিখতে হবে। তবে এখন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য আমাদের দেশের তরুনদের মধ্যে অনেক পরিবর্তন হয়েছে। অনেকেই চেষ্টা করছে নিজে কিছু করার। উদ্যোক্তা হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করার জন্য ইন্টারনেট একটা ভাল প্লাটফর্ম ।
এর কারন হিসাবে বলতে পারি যে এখানে আপনি Web উদ্যোক্তা হতে হলে খুব বেশী  অর্থের প্রয়োজন হয় না, প্রয়োজন হয় মেধা, প্ররিশম এবং
আমাদের দেশে অন্য যে কোন ব্যবসার চেয়ে Web বিজনেস এর খরচ কম এবং প্রফিট বেশী। অল্প সময়ের মধ্যেই নিজেকে Globally প্রতিষ্টিত করা সম্ভব।
Web উদ্যোক্তা হিসাবে আপনাকে যে সকল বিষয় অবশ্যই জানতে হবে।
MODULE ১: BUSINESS PRINCIPLES
# History of the Web
# Introduction to Internet Marketing
# 6 Core Business Principles
# Business Mistakes to Avoid
MODULE ২: DOMAIN NAMES
# Identifying Good Domain Names
# The Research Process
# Domain Name Tools
# Avoiding Domain Traps
MODULE ৩: WEBSITE SETUP
# Web Hosting Basics
# Choosing a Web Hosting
# Content Management Systems
# Using cPanel
MODULE ৪:MARKETS AND NICHES
# How to Choose Your Market or Niche
# Market Research Process
# Niche Research Process
# 100 Niches Analyzed
MODULE ৫:BUSINESS MODELS
# Understanding the Value Chain
# Business Models
# Betamax vs. VHS
# Online Business Models
MODULE ৬:WORDPRESS
WordPress Basic Setup
Securing Your WordPress
Resources and Plugins
WordPress Advanced Optimization
MODULE ৭:WEB DESIGN
HTML and CSS
Designing for Profits and Usability
Outsourcing Your Web Design
Designing For Specific Goals
MODULE ৮:BLOGGING
Blogs as Marketing Platforms
Blog Content Strategy
Blog Design Optimization
Blog Promotion and Blogging Mistakes
MODULE ৯: KEYWORD RESEARCH
Mastering Keyword Research
Keyword Research Mistakes
Building Mini Websites
Keyword Research for Content Websites
MODULE ১০:ONLINE FORUMS
Basics of Online Forums
Building and Growing Your Online Forum
Community Rules
Monetizing Your Online Forum
MODULE ১১: ONLINE STORES
Finding What To Sell
Building Your Store Website
Delivering The Products
The Drop Shipping Business Model
MODULE ১২:WEB CONTENT
Writing Great Web Content
The Art of Linkbaiting
Outsourcing Your Web Content
Attracting Guest Bloggers
MODULE ১৩:BASIC SEO
Understanding Search Engines
On-Page Search Engine Optimization
On-Site Search Engine Optimization
MODULE ১৪:ADVANCED SEO
The PageRank Algorithm
Off-Site Search Engine Optimization
Targeting Highly Competitive Markets and Niches
MODULE ১৫:LINKBUILDING
Basics of Linkbuilding
Building Links with Social Media
Advanced Link Building Strategies
MODULE ১৬:TRAFFIC GENERATION
Basic Taffic Generation
Media Buying and Paid Traffic Sources
Traffic Generation Strategies
MODULE ১৭:WEB METRICS
Understanding Web Metrics
Installing and Using Google Analytics
Techniques to Reduce Your Bounce Rate
MODULE ১৮:SOCIAL MEDIA
How to Become a Social Media Power User
Social Bookmarking Secrets
Using Twitter as a Marketing Tool
MODULE ১৯:SELLING ADVERTISING
Introduction to Google AdSense
AdSense Optimization
Direct Advertising Sales
Selling Sponsored Reviews
MODULE ২০:EMAIL MARKETING
Basics of Email Marketing
Building a Responsive Email List
List Building Tactics and Strategies
MODULE ২১:AFFILIATE MARKETING
Introduction to Affiliate Marketing
Driving Traffic and Sales
Email Powered Affiliate Marketing
MODULE ২২:PAY-PER-CLICK
Introduction to PPC and Google AdWords
PPC Optimization
Analyzing a Successful PPC Campaign
MODULE ২৩:LANDING PAGES
Introduction to Landing Pages
Conversion Rate Optimization
Landing Page Test
MODULE ২৪:SELLING PRODUCTS
Understanding the Sales Funnel Concept
Product Launch Strategies
Basic Copywriting Techniques

Sunday, November 1, 2015

প্লাস্টিক পণ্য ব্যবহারে সতর্ক হন, জেনে নিন কিছু গুরুত্বপূর্ন তথ্য

বর্তমান বিশ্বে প্লাস্টিক হল বহুল ব্যবহৃত একটি সামগ্রী। প্রতিদিন প্রতি পাঁচ মিনিটে প্রায় ২০ লক্ষ প্লাস্টিক বোতল বিক্রয় হয়। প্লাস্টিক এর পণ্য যেমন ভাল আবার তেমনই ক্ষতিকর। এর গবেষনায় দেখা গেছে যে প্লাস্টিক পণ্য মানুষকে আস্তে আস্তে মৃত্যুর দিকে ঢেলে দেয়।
কেবল প্লাস্টিক বোতল নয় বরং বোতল ছাড়াও প্লাস্টিকের যে কোন পণ্য আসলে মানুষের জন্য বিপদজনক। তাই প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার করার আগে সেগুলোর প্যাকেটে গায়ের লেখা ও চিহ্ন দেখে নেয়া খুবই জরুরি। কীভাবে বুঝবেন আপনার ব্যবহৃত প্লাস্টিক পণ্যটি নিরাপদ কিনা? শিখে নিন সেই পদ্ধতিটিঃ
প্লাস্টিক পণ্যের বিভিন্ন চিহ্ন ও তার অর্থ-
প্লাস্টিক এর বোতল কিংবা কোন পণ্য কিনলে তার গায়ে অথবা নিচে একটি ত্রিকোণ চিহ্নের ভেতরের যে কোনো একটি শব্দ বা একটি সংখ্যা দেয়া থাকে। এটা শুরু হয় ১ থেকে আর শেষ হয় ৭ এ। এখন দেখি এর অর্থগুলো কি 

নাম্বার ১ঃ
The Recycling SymbolsPlastic #1 – PETE or PET (Polyethylene Terephthalate)।গায়ে যদি ১ লেখা থাকে তাহলে তা PET বা PETE হিসেবে পরিচিত যার অর্থ হচ্ছে এই সামগ্রীটি একবারই মাত্র ব্যবহার করা যাবে। কারণ বিভিন্ন দেশের einvironmental protection agency(EPA) এর মতে এসব সামগ্রী পুনরায় ব্যবহার করলে তা থেকে ক্ষতিকর রাসায়নিক পদার্থ বের হতে পারে। এসব প্লাস্টিক থেকে antimony নামক এক প্রকার ভারি ধাতু নির্গত হতে পারে যা আমাদের দেহের হরমোনের কাজের উপর হস্তক্ষেপ করতে পারে। এটি থেকে ক্যান্সার উৎপাদক পদার্থও দেহে প্রবেশ করতে পারে।
নাম্বার ২ঃ
Plastic #2 – HDPE (High Density Polyethylene)।যদি প্লাস্টিক সামগ্রীটির ত্রিকোণের ভেতরে ২ লিখা থাকে তাহলে তা HDPE বা HDP হিসেবে পরিচিত যা ভাল মানের প্লাস্টিক হিসেবে বিবেচিত। এর কারণ হচ্ছে এই মানের প্লাস্টিকটি অন্য প্লাস্টিকের মত পানির সংস্পর্শে এসে রাসায়নিক পদার্থ নির্গত করে না।
নাম্বার ৩ঃ
Plastic #3 – V or PVC (Vinyl)। এটি V বা PVC ধরনের যদি বোতলের গায়ে ৩ লেখা থাকে। আর এর মানে হচ্ছে ২ ধরনের বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ থাকে যা আমাদের দেহের হরমোনকে প্রভাবিত করতে পারে। কিন্তু তারপরও সারা বিশ্বেই PVC ধরনের প্লাস্টিক সামগ্রী ব্যবহার হয়ে আসছে। ডিটারজেন্ট বোতল তোরিতে এটা বেশি ব্যবহার করা হয়।
নাম্বার ৪ঃ
Plastic #4 – LDPE (Low Density Polyethylene)। LDPE ধরনের প্লাস্টিক হচ্ছে ৪ নাম্বার। এর অর্থ হচ্ছে এটি পানির সংস্পর্শে এসে কোন ধরনের রাসায়নিক পদার্থ নির্গত করে না। যদিও তাদের বেশির ভাগই অধিকাংশ প্লাস্টিক ব্যাগেই থাকে। শপিং ব্যাগ, কার্পেট তৈরি তে বেশি ব্যবহার হয়।
নাম্বার ৫ঃ
Plastic #5 – PP (Polypropylene)। PP বা ৫ নাম্বার হচ্ছে ভালো মানের প্লাস্টিক। সাদা রঙ দেখে এই মানের প্লাস্টিক চেনা যায়। অনেক সময় এটা দেখতে একদম স্বচ্ছ হয়। PP প্লাস্টিক বেশিরভাগ ক্ষেত্রে দইয়ের কাপ ও সিরাপের বোতলে দেখা যায়। আর এফ এল এর প্লাস্টিক গুলোতে নাম্বার ৫ থাকে।
নাম্বার ৬ঃ
Plastic #6 – PS (Polystyrene)। ৬ লেখা প্লাস্টিক সামগ্রী যদিও STIREN নামক পদার্থ নির্গত করে যা ক্যান্সার উৎপাদক। তবুও এই ধরনের প্লাস্টিক বিভিন্ন খাবার প্যাকেট করার জন্য ও কফি মগ হিসেবে ব্যবহৃত হয়ে থাকে।
নাম্বার ৭ঃ
Plastic #7 – Other, Miscellaneous সবশেষে যখন প্লাস্টিকের গায়ে কোন কিছু লেখা থাকে না তা PC ধরনের প্লাস্টিক হিসেবে পরিচিত। লেভেল ছাড়া বা কিছু লিখা ছাড়া প্লাস্টিক কোন ভাবেই ব্যবহার করা উচিত নয় কারণ এসব ধরনের প্লাস্টিক থেকে BPA নির্গত হয়। BPA এর পুরো নাম হচ্ছে bisphenol A যা শিল্প খাতে ব্যবহৃত রাসায়নিক পদার্থ এবং এটি আমাদের দেহের জন্য খুবই ক্ষতিকর। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত PC ধরনের প্লাস্টিক খাবার রাখার ক্ষেত্রে, বিভিন্ন ধরনের স্পোর্টস ড্রিঙ্কস ইত্যাদির বোতল হিসেবে ব্যবহার হয়। আর সবচেয়ে খারাপ যে ব্যাপারটা হয় সেটা হচ্ছে ছোট বাচ্চাদের বোতল তৈরিতেও ব্যবহার হয়ে থাকে।
সুতরাং  যেসব প্লাস্টিক সামগ্রীতে ২, ৪ বা ৫ নম্বর থাকে সেসব নিশ্চিন্তে ব্যবহার করতে পারেন কিন্তু যদি ১,৩,৬ বা ৭ থাকে তাহলে বুঝতে হবে যে সেসব সামগ্রী ব্যবহার করলে তা থেকে বিপদজনক রাসায়নিক পদার্থ অবশ্যই শরীরে প্রবেশ করবে। তাই চলুন আমরা এখনই সাবধান হই। নিজে রাসায়নিক উপাদানের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচি এবং প্রিয়জনকেও বাঁচাই।

Friday, October 16, 2015

যারা এড দেখে ইনকাম করতে আগ্রহী, শুধু তাদের জন্য



১।Adpaying
অনেকেই এই সাইটের নাম আজকে শুনেছেন। কারণ সাইটটি মাত্র গতকালই লঞ্চ করেছে। আমি এই সাইট থেকে পেমেন্ট না পেয়েও এটিকে প্রথমে দেয়ার কারণ হচ্ছে এটি নতুন হওয়াতে এড বেশি দিচ্ছে ফলে নতুনরা আশানুরূপ রেজাল্ট পেতে পারেন। এদের মিনিমাম পে আউট $2। নিচের লিঙ্কে ক্লিক করে রেজিষ্ট্রেশন করুন...
পুরো লিঙ্ক কপি-পেষ্ট করে স্পেস বাদ দিয়ে Enter দিন। টিটিতে Maybe রেফারাল লিঙ্ক দেয়া যাচ্ছে না। তাই স্পেস দিয়ে দিলাম
 

Sing up

যে কোনো অপরেটরে ইন্টারনেট চালান সম্পূর্ণ ফ্রিতে


বর্তমান ৩জি জগতে ইন্টারনেট স্পিড ভালো।কিন্তু দামের দিক দিয়েও তাদের তুলনা নেই।তাই বেশি ভাগ মানুষই ইন্টারনেট চালানোর মজা উপভোগ করতে পারে না।কিন্তু আর না!আজ আপনাদের এমন এক পদ্ধতি শিখাব যার মাধ্যমে গ্রামীণফোনে ফ্রিতে নেট ব্যবহার করতে পারবেন।এর জন্য আমাদের দুটি সফটওয়্যার দরকার।একটি দিয়ে আপনার পিসির আইপি এড্রেস হাইড করবেন এবং অপরটি দিয়ে আপনার পিসির জন্য একটি নতুন আইপি এড্রেস Create করবেন। সফটওয়্যার দুটি হোল Any Ip Hideএবং অপরটি হল IP AVC Creator।প্রথমে সফটওয়্যার দুটি ডাউনলোড করে নিনঃ

Any Ip Hide ডাউনলোড

IP AVC Creator ডাউনলোড

ডাউনলোড শেষ হলে নিন্মের ধাপ গুলো অনুসরণ করুন:
১. Any Ip Hide ওপেন করুন
২.Hider ট্যাব এ ক্লিক করুন
৩.Hide IP তে ক্লিক করুন
আপনার একটি কাজ শেষ এবার অপর সফটওয়্যারের কাজ শুরু
৪. IP AVC Creator ওপেন করুন
৫.Create A New IP & Fix এ ক্লিক করুন
আপনার কাজ শেষ এখন আপনি ফ্রিতেই নেট চালাতে পারবেন।আপনার কোন টাকা খরচ করতে হবে না।আপনার নেট স্পীড ১-২ Mbps হবে।তাই দেরি না করে ফ্রি নেট চালানো সুরু করেন।এতে ধরা খাওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই।কারন সুরু তেই আপনি আপনার পিসির ম্যাক এড্রেস চেঞ্জ করে ফেলে ছেন।মজা করে ফ্রি নেট চালান।মজা করে ফ্রি নেট চালান।মজা করে ফ্রি নেট চালান।মজা করে ফ্রি নেট চালান।মজা করে ফ্রি নেট চালান।

আপনার সিমের Delete হয়ে যাওয়া Contact Number, Messages ইত্যাদি ফিরিয়ে আনুন.......!

আপনারা সবাই কেমন আছেন, আশা করি খুব ভাল আছেন এবং আগামিতে যেন সব সময়ভালো থাকেন Techtunes.Com.Bd এর পক্ষ থেকে এই কামনা রইলো।
নিচের লিনক থেকে Zip File টি নামিয়ে নিন।
আমরা বিভিন্ন সময়ে মোবাইল ব্যবহার করতে গিয়ে ইচ্ছে করে কিংবা ভুল করে মেসেজ অথবা সেভ করা নাম্বার ডিলেট করে ফেলি। কিন্তু পরে দেখা যায় ডিলেট হয়ে যাওয়া ওই মেসেজ এবং নাম্বার প্রয়োজন পড়ে যায়। তখন পরতে হয় বিড়ম্বনায়। কখনো কখনো অনেকে জরুরী কোন মেসেজ কিংবা নাম্বার ডিলেট করে খুব বিপদে পরে যায়। কারণ এগুলো ফিরে পাওয়ার কোন পথ থাকেনা।

এখন থেকে এই বিপদ আপনি নিজে নিজেই কাটিয়ে উঠতে পারবেন। এর জন্য ছোট একটা সফটওয়্যার প্রয়োজন হবে। আপনাদের জন্য সফটওয়্যারটির ফুল ভার্সন আপলোড করেছি। মাত্র ৪৫০ কে.বি সাইজের ছোট
সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করতে এই লিংকে গিয়ে Data Doctor Recovery – SimCard.zip নামের সফটওয়্যারটি ডাউনলোড করে নিন।

এবার আনজিপ করে সফটওয়্যারটি আপনার
কম্পিউটারে সেটাপ দিন। এবং রেজিষ্ট্রেশন করতে যে কোন নাম এবং ইমেইল দিয়ে টেক্সট ফাইলের মধ্যে থেকে ৪টি সিরিয়াল নাম্বারের যে কোন একটি
ব্যবহার করে সফটওয়্যারটি ফুল ভার্সন করে নিন। এবার সফটওয়্যারটি সম্পর্কে একটু বলে দেই। এই সফটওয়্যারের মাধ্যমে আপনি যে কোন দেশের সব ধরনের GSM SIM Card এর মেসেজ অথবা নাম্বার রিকভার করতে পারবেন। ইনবক্স, আউটবক্স, ড্রাফট, সেন্ড আইটেম সকল জায়গা থেকে ডিলেট হয়ে যাওয়া মেসেজ যে সেন্ড করেছে তারনাম্বার সময়, তারিখ এবং জায়গার নামসহ
রিকভার করা যাবে। এর মাধ্যমে সিম কার্ডের IMSI নাম্বার, ICC মোবাইল আইডেন্টিফিকেশন নাম্বার, সার্ভিস প্রোভাইডার নাম্বার এবং আরও অনেক তথ্যজানতে পারবেন। PC/SC অথবা Phoenix স্ট্যান্ডার্ড সিম কার্ড রিডার দিয়ে সিম
কানেক্ট করে এই সফটওয়্যারটি দিয়ে কাজ
করতে পারবেন।
সফটওয়্যারটি ব্যবহার করা খুবই সহজ। এটি প্রচললিত সব ধরনের উইন্ডোজ যেমনঃ Windows 2000, Windows 2003, Windows XP, Windows 7, Windows Vista তে সাপোর্ট করে।
মনে রাখবেন, সিম কার্ড পিসি তে কানেক্ট করে এই সফটয়্যার দিয়ে কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই PC/SC অথবা Phoenix স্ট্যান্ডার্ড সিম কার্ড রিডার ব্যবহার করতে হবে। ইলেক্ট্রনিক্স দোকানে গিয়ে GSM SIM Card Reader খুজলেই পাবেন। আশা করি সবাই এখন থেকে কাজটি করতে পারবেন এবং অনেক উপকৃত হবেন।

Sunday, September 20, 2015

আসুন জেনেনি কম্পিউটের ইতিহাস !

 আসুন জেনে নিন কম্পিউটের ইতিহাস
গণকযন্ত্র বা কম্পিউটার (ইংরেজি: Computer কম্‌পিঊটার্‌) হল এমন একটি যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ খুব দ্রুত করতে পারে।
কম্পিউটার (computer) শব্দটি গ্রিক কম্পিউট (compute)শব্দ থেকে এসেছে। compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা। আর কম্পিউটার (computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কিন্তু এখন আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা তথ্য গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করে। সভ্যতার বিকাশ এবং বর্তমানে তার দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে গণিত ও কম্পিউটারের প্রবল প্রভাব। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে।

ইতিহাস

বর্তমান প্রযুক্তিতে কম্পিউটারের অবদানের অন্তরালে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের নিরলস পরিশ্রম, উদ্ভাবনী শক্তি ও গবেষণার স্বাক্ষর। প্রাগৈতিহাসিক যুগে গণনার যন্ত্র উদ্ভাবিত বিভিন্ন কৌশল / প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার ইতিহাস বলা যায়। প্রাচীন কালে মানুষ সংখ্যা বুঝানোর জন্য ঝিনুক, নুড়ি, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার করত। পরবর্তীতে গণনার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্যবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাস (Abacus) নামক একটি প্রাচীন গননা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ অ্যাবাকাস থেকেই কম্পিউটারের ইতিহাসের শুভযাত্রা। এটি আবিষ্কৃত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ২৪০০ সালে ব্যাবিলনে। অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গননা করার যন্ত্র। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে বা চীনে গননা যন্ত্র হিসেবে অ্যাবাকাস তৈরি হয়।
১৬১৬ সালে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার গণনার কাজে ছাপা বা দাগ কাটাকাটি/ দন্ড ব্যবহার করেন । এসব দন্ড নেপিয়ার (John Napier) এর অস্থি নামে পরিচিত।
১৬৪২ সারে ১৯ বছর বয়স্ক ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল সর্বপ্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন। তিনি দাঁতযুক্ত চাকা বা গিয়ারের সাহায্যে যোগ বিয়োগ করার পদ্ধতি চালু করেন।
১৬৭১ সালের জার্মান গণিতবিদ গটফ্রাইড ভন লিবনিজ প্যাসকেলের যন্ত্রের ভিত্তিতে চাকা ও দন্ড ব্যবহার করে গুণ ও ভাগের ক্ষমতাসম্পন্ন আরো উন্নত যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তেরি করেন। তিনি যন্ত্রটির নাম দেন রিকোনিং যন্ত্র (Rechoning Mechine)। যন্ত্রটি তাত্ত্বিক দিক দিয়ে ভাল হলেও যান্ত্রিক অসুবিধার জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি। পরে ১৮২০ সালে টমাস ডি কোমার রিকোনিং যন্ত্রের অসুবিধা দূর করে লিবনিজের যন্ত্রকে জনপ্রিয় করে তোলেন।

উনিশ শতকের শুরুর দিকে আধুনিক একটি যন্ত্রের নির্মাণ ও ব্যবহারের ধারণা (যা কেবলমাত্র যান্ত্রিকভাবে, মানে যেকোনও রকম বুদ্ধিমত্তা ব্যতিরেকে, গাণিতিক হিসাব করতে পারে) প্রথম সোচ্চার ভাবে প্রচার করেন চার্লস ব্যাবেজ। তিনি এটির নাম দেন ডিফারেন্স ইন্জিন (Difference Engine)। এই ডিফারেন্স ইঞ্জিন নিয়ে কাজ করার সময় (১৮৩৩ সালে) তিনি অ্যানালিটিক্যাল ইন্জিন নামে আরও উন্নত ও সর্বজনীন একটি যন্ত্রে ধারনা লাভ করেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় যন্ত্র ও অর্থের অভাবে কোনোটির কাজই তিনি শেষ করতে পারেননি।
কম্পিউটার বিজ্ঞানের সত্যিকার সূচনা হয় অ্যালান টুরিং এর প্রথমে তাত্ত্বিক ও পরে ব্যবহারিক গবেষণার মাধ্যমে।
বিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে আধুনিক কম্পিউটারের বিকাশ ঘটতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবনের ফলে মাইক্রোকম্পিউটারের দ্রুত বিকাশ ঘটতে থাকে। বাজারে প্রচলিত হয় বিভিন্ন প্রকৃতি ও আকারের কম মূল্যের অনেক রকম পার্সোনাল কম্পিউটার (Personal Computer) বা পিসি (PC)। সে সঙ্গে উদ্ভাবিত হয়েছে অনেক রকম অপারেটিং সিস্টেম, প্রোগ্রামের ভাষা, অগণিত ব্যবহারিক প্যাকেজ প্রোগ্রাম। এরসাথে ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের এবং সংশ্লিষ্ট সেবা ও পরিসেবার। কম্পিউটার শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ও সম্প্রসারিত হয়েছে অসংখ্য প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কম্পিউটার শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সাম্প্রতিক কালে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি (Information Technology) বা আইটি (IT) ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরাট অংশ দখল করেছে এবং কর্মসংস্থান হয়ে পড়েছে অনেকাংশেই কম্পিউটার নির্ভর।[১]
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেল কর্পোরেশন ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবন করলে কম্পিউটারের আকৃতি ও কার্যক্ষমতায় এক বিরাট বিপ্লব সাধিত হয়। বাজারে আসতে শুরু করে মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক কম্পিউটার। ১৯৮১ সালে বাজারে আসে আই.বি.এম কোম্পানির পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি। এর পর একের পর এক উদ্ভাবিত হতে থাকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোপ্রসেসর এবং তৈরি হতে থাকে শক্তিশালী পিসি। আই.বি.এম কোম্পানি প্রথম থেকেই আই.বি.এম কমপ্যাটিবল কম্পিউটার (IBM compatible computer) তৈরির ক্ষেত্রে কোনো বাধা-নিষেধ না রাখায় এ ধরনের কম্পিউটারগুলির মূল্য ব্যাপকহারে হ্রাস পায় এবং এর ব্যবহারও ক্রমাগত বাড়তে থাকে। অন্যদিকে আই.বি.এম কোম্পানির পাশাপাশি অ্যাপল কম্পিউটার ইনকর্পোরেট (Apple Computer Inc) তাদের উদ্ভাবিত অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ (Apple-Macintosh) কম্পিউটার বাজারে ছাড়ে। কিন্তু অ্যাপল কোম্পানি তাদের কমপ্যাটিবল কম্পিউটার তৈরির ক্ষেত্রে কোনোরূপ উদারতা প্রদর্শন না করায় ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের মূল্য থেকে যায় অত্যধিক বেশি, যার ফলে অ্যাপল তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারে নি। তবে বিশেষ ধরনের কিছু ব্যবহারিক সুবিধার কারণে মূলত মুদ্রণ শিল্পে অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হতো।[১]

বাংলাদেশে কম্পিউটারে ইতিহাস

বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহারের সূচনা হয় ষাটের দশকে এবং নববই-এর দশকে তা ব্যাপকতা লাভ করে।
দশকের মধ্যভাগ থেকে এ দেশে তথ্য প্রযুক্তি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকা-তে ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয় বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) প্রথম কম্পিউটার। এটি ছিল আইবিএম (International Business Machines - IBM) কোম্পানির 1620 সিরিজের একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer)। যন্ত্রটির প্রধান ব্যবহার ছিল জটিল গবেষণা কাজে গাণিতিক হিসাব সম্পন্নকরণ।[১]
ষাটের দশকে দেশে ও বিদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণাসহ ব্যাংক-বীমা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে দ্রুত প্রসার ঘটতে শুরু করে; এবং এজন্য রুটিন হিসাবের পরিমাণ যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি প্রয়োজন হয়ে পড়ে হিসাবে দ্রুততা আনয়নের। বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠানে হাতে-কলমে হিসাব পরিচালনা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। এসময় দেশের কয়েকটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ব্যয়বহুল মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপন করে। ষাটের দশকের শেষ দিকে তদানীন্তন হাবিব ব্যাংক IBM 1401 কম্পিউটার এবং ইউনাইটেড ব্যাংক IBM 1901 কম্পিউটার স্থাপন করে। প্রধানত ব্যাংকের যাবতীয় হিসাব-নিকাশের জন্য ব্যবহূত এসব কম্পিউটার ছিল তৃতীয় প্রজন্মের মেইনফ্রেম ধরনের।[১]
স্বাধীনতার পূর্বে, ১৯৬৯ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরোতে স্থাপিত হয় একটি IBM 360 কম্পিউটার। আদমজী জুট মিলেও এ সময় একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপিত হয়েছিল। সীমিত পরিসরে হলেও স্বাধীনতা পূর্বকালে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স কৌশল প্রভৃতি বিষয়ের পাঠ্যক্রমে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার-এর অন্তর্ভুক্তি শুরু হয়। ১৯৭২-এর পর থেকে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো নামক প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত হয় IBM 370, IBM 9100 এবং IBM 4341 প্রভৃতি বৃহৎ কম্পিউটার।[১]

বাংলা সফটওয়্যার উদ্ভাবনের ইতিহাস

কম্পিউটারে প্রথম বাংলা লেখা সম্ভব হয় ১৯৮৭ সালে এবং এ সাফল্যের কৃতিত্ব মাইনুল ইসলাম নামক একজন প্রকৌশলির। তিনি নিজের উদ্ভাবিত বাংলা ফন্ট ‘মাইনুলিপি’ ব্যবহার করে অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে বাংলা লেখার ব্যবস্থা করেন। এ ক্ষেত্রে বাংলার জন্য আলাদা কোনো কি-বোর্ড (keyboard) ব্যবহার না করে ইংরেজি কি-বোর্ড দিয়েই কাজ চালানো হয়েছিল। ইংরেজি ও বাংলার আলাদা ধরনের বর্ণক্রম এবং বাংলার যুক্তাক্ষরজনিত সমস্যা সমাধান করা হয়েছিল ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের চার স্তর কি-বোর্ড (4 layer keyboard) ব্যবহারের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে। মাইনুলিপির পর পরই ‘শহীদলিপি’ ও ‘জববারলিপি’ নামে আরও দুটো বাংলা ফন্ট উদ্ভাবিত হয় এবং একই পদ্ধতিতে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ব্যবহূত হয়। পরবর্তী বছরে অর্থাৎ ১৯৮৮ সালে আনন্দ কম্পিউটার্স নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে তৈরি হয় অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ব্যবহার উপযোগী প্রথম ইন্টারফেস ‘বিজয়’। এ সময়েই প্রথম বাংলা কি-বোর্ড লে-আউট তৈরি হয়। প্রথম পর্যায়ের বাংলা কি-বোর্ডগুলির মধ্যে ‘বিজয়’ এবং ‘মুনীর’ উল্লেখযোগ্য। ইন্টারফেস পদ্ধতিতে বাংলা ফন্ট ও বাংলা কি-বোর্ডকে কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের (Operating System or OS) সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় এবং এ কি-বোর্ডকে ক্রিয়াশীল করে ও ফন্ট নির্বাচন করে কম্পিউটারে বাংলা লেখা যায়। বিজয় ইন্টারফেসটি ছিল ম্যাকিনটোশ ভিত্তিক এবং অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের মূল্য অত্যধিক হওয়ায় এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো সীমিত, মূলত প্রকাশনার কাজেই তা ব্যবহূত হতো।[১]
আই.বি.এম কম্পিউটারের ব্যবহারকারী আগাগোড়াই বেশি এবং এ বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারীর কথা বিবেচনা করেই ১৯৯২ সালের প্রথম দিকে ‘বর্ণ’ নামে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলা ওয়ার্ডপ্রসেসিং সফটওয়্যার উদ্ভাবন করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের দুজন ছাত্র রেজা-ই আল আমিন আব্দুল্লাহ (অংক) ও মোঃ শহীদুল ইসলাম (সোহেল)। প্রতিভাবান দু কিশোর প্রোগ্রামারের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান সেইফওয়ার্কস-এর পক্ষ থেকে এ স্বয়ংসম্পূর্ণ ওয়ার্ডপ্রসেসরটির উদ্ভাবন ছিল বাংলা সফটওয়্যারের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। ওয়ার্ডপ্রসেসরটি ছিল ‘ডস’ (Disk Operating System - DOS) ভিত্তিক, কিন্তু প্রোগ্রামটির নিজস্ব আঙ্গিক ছিল উইন্ডোস (Windows)-এর মতো। বর্ণ-তে তিন ধরণের কি-বোর্ড ব্যবহার করা যেতো মুনীর, বিজয় এবং ইজি কি-বোর্ড (easy keyboard)। বর্ণ সফটওয়্যারটিতে কি-বোর্ড পুনর্গঠনের (customise) সুবিধাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। অর্থাৎ, কেউ ইচ্ছা করলে নিজের পছন্দ বা সুবিধা অনুযায়ী নতুন কি-বোর্ড লে-আউট তৈরি করে নেওয়ার স্বাধীনতা ছিল। পরবর্তীতে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ক্রমাগত উন্নত থেকে উন্নততর সংস্করণের ওয়ার্ড প্রসেসর বাজারে ছাড়তে থাকলে ১৯৯৩ সালে বাংলা ফন্ট ও বাংলা কি-বোর্ডকে আই.বি.এম কম্পিউটারের আধুনিক অপারেটিং সিস্টেম ‘মাইক্রোসফট উইন্ডোজ’ (Microsoft Windows)-এর সঙ্গে ব্যবহারের জন্য ইন্টারফেস ‘বিজয়’ উদ্ভাবিত হয়। এর পর ১৯৯৪ সালে ‘লেখনী’ নামেও একটি ইন্টারফেস তৈরি হয়। যদিও ‘আবহ’ (১৯৯২-এর শেষে উদ্ভাবিত) আই.বি.এম কম্পিউটারে ব্যবহার উপযোগী প্রথম ইন্টারফেস, কিন্তু কিছু ত্রুটির কারণে এটি তেমন একটা ব্যবহূত হয়নি।[১]

কম্পিউটার সিস্টেম

সিস্টেম হলো কতগুলো ইন্টিগ্রেটেড উপাদানের সম্মিলিত প্রয়াস যা কিছু সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কাজ করে। কম্পিউটার সিস্টেমের উপাদানগুলো নিম্নরূপ :-
  1. হার্ডওয়্যার,
  2. সফটওয়্যার,
  3. হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী,
  4. ডেটা বা ইনফরমেশন

হার্ডওয়্যার

কম্পিউটারের বাহ্যিক আকৃতিসম্পন্ন সকল যন্ত্র, যন্ত্রাংশ ও ডিভাইস সমূহকে হার্ডওয়্যার বলে। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে প্রাথমিকভাবে তিনভাগে ভাগ করা যায়।
  1. * ইনপুট যন্ত্রপাতি : কী-বোর্ড, মাউস, ডিস্ক, স্ক্যানার, কার্ড রিডার, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।
  2. * সিস্টেম ইউনিট : হার্ড ডিস্ক, মাদারবোর্ড, এজিপি কার্ড ইত্যাদি।
  3. * আউটপুট যন্ত্রপাতি : মনিটর, প্রিন্টার, ডিস্ক, স্পিকার ইত্যাদি।

সফটওয়্যার

সমস্যা সমাধান বা কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের ভাষায় ধারাবাহিকভাবে সাজানো নির্দেশমালাকে প্রোগ্রাম বলে। প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যারকে কার্যক্ষম করে তাকেই সফটওয়্যার বলে। কম্পিউটারের সফট্ওয়্যারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
  1. * সিস্টেম সফটওয়্যার : সিস্টেম সফট্‌ওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য কম্পিউটারের সামর্থ্যকে সার্থকভাবে নিয়োজিত রাখে।
  2. এপ্লিকেশন সফটওয়্যার : ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহিত প্রোগ্রামকে অ্যাপ্লিকেশন সফট্‌ওয়্যার বলে। ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক রকম তৈরি প্রোগ্রাম বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে পাওয়া যায়, যাকে সাধারণত প্যাকেজ প্রোগ্রামও বলা হয়।

হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী

ডেটা সংগ্রহ, প্রোগ্রাম বা ডেটা সংরক্ষণ ও পরীক্ষাকরণ, কম্পিউটার চালানো তথা প্রোগ্রাম লিখা, সিস্টেমগুলো ডিজাইন ও রেকর্ড লিপিবদ্ধকরণ এবং সংরক্ষণ, সফট্‌ওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি কাজগুলোর সাথে যুক্ত সকল মানুষকে একত্রে হিউম্যানওয়্যার (Humanware) বলা হয়।

ডেটা/ইনফরমেশন

ইনফরমেশন বা তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে ডেটা বলে। ডেটা হল সাজানো নয় এমন কিছু বিশৃঙ্খল ফ্যাক্ট (Raw Fact)ডেটা প্রধানত দুরকম -
(ক) নিউমেরিক (Numeric) ডেটা বা সংখ্যাবাচক ডেটা। যেমনঃ ২৫,১০০,৪৫৬ ইত্যাদি। (খ) অ-নিউমেরিক (Non-Numeric) ডেটা। যেমনঃ মানুষ, দেশ ইত্যাদির নাম, জীবিকা, জাতি কিংবা ছবি, শব্দ ও তারিখ প্রভৃতি।

অপারেটিং সিস্টেম

অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার যা কম্পিউটার প্রোগ্রামের এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং যা সিডিউলিং, ডিবাগিং, ইনপুট/আউটপুট কন্ট্রোল, একাউন্টিং, কম্পাইলেশন, স্টোরেজ অ্যাসাইনমেন্ট, ডেটা ম্যানেজমেন্ট এবং আনুষঙ্গিক কাজ করে থাকে। বর্তমানে মাইক্রো কম্পিউটার বা পিসিতে বহুল ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেমগুলো হলো - ডস, উইন্ডোজ ৯৫, উইন্ডোজ ৯৮, উইন্ডোজ ২০০০, ইউনিক্স, উবুন্টু, মিন্ট (অপারেটিং সিস্টেম), MANDRIVA, ডেবিয়ান, ফেডোরা, ম্যাক ওএসএক্স, উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ভিস্তা, উইন্ডোজ ৭, উইন্ডোজ ৮, উইন্ডোজ ৮.১, উইন্ডোজ ১০, লিনাক্স

প্রয়োগ

কম্পিউটারের রয়েছে প্রচুর ব্যবহার| ঘরের কাজ থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক, বৈজ্ঞানিক ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে এর অপরিসীম ব্যবহার| সর্বোপরি যোগাযোগ ক্ষেত্রে এটি এনেছে অনন্য বিপ্লব| চিকিৎসা ও মানবকল্যাণেও এটি এক অনন্য সঙ্গী| এক কথায় কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা প্রায় সকল কাজ করতে সক্ষম।
  1. জি আই এস এ কম্পিউটার: GIS প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কমপিউটার ব্যবহার করা হয়। এ প্রযুক্তিতে কম্পিউটারের সাহায্যে মানচিত্রে বিভিন্ন তথ্য যুক্ত করা হয়।

কম্পিউটারের প্রকার

  1. এনালগ কম্পিউটার
  2. ডিজিটাল কম্পিউটার
  3. হাইব্রিড কম্পিউটার
  1. মাইক্রো কম্পিউটার
  2. মিনি কম্পিউটার
  3. মেইনফ্রেম কম্পিউটার
  4. সুপার কম্পিউটার
  1. ডেক্সটপ
  2. ল্যাপটপ

এনালগ কম্পিউটার

যে কম্পিউটার একটি রাশিকে অপর একটি রাশির সাপেক্ষে পরিমাপ করতে পারে,তাই এনালগ কম্পিউটার। এটি উষ্ণতা বা অন্যান্য পরিমাপ যা নিয়মিত পরিবর্তিত হয় তা রেকর্ড করতে পারে।মোটর গাড়ির বেগ নির্ণায়ক যন্ত্র এনালগ কম্পিউটারের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

ডিজিটাল কম্পিউটার

ডিজিটাল কম্পিউটার দুই ধরনের বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ দ্বারা সকল কিছু প্রকাশ করা হয়। ভোল্টেজের উপস্থিতিকে ১ এবং অনুপস্থিতিকে ০ দ্বারা প্রকাশ করা হয় এটি যে কোন গণিতের যোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে এবং বিয়োগ,গুণ ও ভাগের মতো অন্যান্য অপারেশন সম্পাদন করে। আধুনিক সকল কম্পিউটার ডিজিটাল কম্পিউটার।

হাইব্রিড কম্পিউটার

হাইব্রিড কম্পিউটার হলো এমন একটি কম্পিউটার যা এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। সুতরাং বলা যায়, প্রযুক্তি ও ভিত্তিগত দিক থেকে এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের আংশিক সমন্বয়ই হচ্ছে হাইব্রিড কম্পিউটার। সাধারণত হাইব্রিড কম্পিউটারে তথ্য সংগ্রহ করা হয় অ্যানালগ পদ্ধতিতে এবং গণনা করা হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। যেমন আবহাওয়া দপ্তরে ব্যবহৃত হাইব্রিড কম্পিউটার অ্যানালগ পদ্ধতিতে বায়ুচাপ,তাপ ইত্যাদি পরিমাপ করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে।

মেইনফ্রেম কম্পিউটার

মিনি কম্পিউটার

যে কম্পিউটার টার্মিনাল লাগিয়ে প্রায় এক সাথে অর্ধ শতাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে তাই মিনি কম্পিউটার। এটা শিল্প-বাণিজ্য ও গবেষণাগারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যেমন – pdp-11, ibms/36, ncrs/9290, IBM 9375.

মাইক্রো কম্পিউটার

মাইক্রো কম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি বলেও অভিহিত করা হয়। ইন্টারফেস চিপ (Mother Board) , একটি মাইক্রোপ্রসেসর, সিপিইউ, র‍্যাম, রম, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি সহযোগে মাইক্রো কম্পিউটার গঠিত হয়। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে এ কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়। ম্যকিনটোস আইবিএম পিসি এ ধরনের কম্পিউটার।

সুপার কম্পিউটার


অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার বলে। এ কম্পিউটারের গতি প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১ বিলিয়ন ক্যারেক্টর। কোনো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্থাপনা করার মতো স্মৃতিভাণ্ডার বিশিষ্ট কম্পিউটার হচ্ছে সুপার কম্পিউটার। CRAY 1, supers xll এ ধরনের কম্পিউটার।

ট্যাবলেট কম্পিউটার

ট্যাবলেট কম্পিউটার এক ধরণের মাইক্রো কম্পিউটার। যা পাম টপ কম্পিউটার নামে পরিচিত। এটি স্পর্শপর্দা সম্বলিত প্রযুক্তি। এটি এনড্রয়েড এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলে।

আসুন জেনে নেই ব্লগের ইতিহাস !

 আমরা অনেকেই ব্লগ করি কিন্তু ব্লগের ইতিহাস জানিনা আসুন জেনে নেই ব্লগের ইতিহাস

ব্লগ শব্দটি ইংরেজ Blog এর বাংলা প্রতিশব্দ, যা এক ধরণের অনলাইন ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা। ইংরেজি Blog শব্দটি আবার Weblog এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলা হয়। ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট যুক্ত করেন আর ব্যবহারকারীরা সেখানে তাদের মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও সাম্প্রতিক কালে ব্লগ ফ্রিলান্স সাংবাদিকতার একটা মাধ্যম হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ নিয়ে এক বা একাধিক ব্লগার রা এটি নিয়মিত আপডেট করেন।
বেশিরভাগ ব্লগই কোন একটা নির্দিষ্ট বিষয়সম্পর্কিত ধারাবিবরণী বা খবর জানায়; অন্যগুলো আরেকটু বেশিমাত্রায় ব্যক্তিগত পর্যায়ের অনলাইন দিনপত্রী/অনলাইন দিনলিপিসমূহ। একটা নিয়মমাফিক ব্লগ লেখা, ছবি, অন্য ব্লগ, ওয়েব পেজ আর এবিষয়ের অন্য মাধ্যমের লিংকের সমাহার/সমষ্টি। পাঠকদের মিথষ্ক্রিয়াময় ছাঁচে মন্তব্য করার সুবিধে-রাখা বেশিরভাগ ব্লগের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক। প্রায় ব্লগই মূলত লেখায় আকীর্ণ, কিছু কিছু আবার জোর দেয় শিল্প (আর্ট ব্লগ), ছবি (ফটোব্লগ), ভিডিও (ভিডিও ব্লগিং), সঙ্গীত (এমপিথ্রিব্লগ) আর অডিওর (পডকাস্টিং) ওপর। মাইক্রোব্লগিং-ও আরেকধরনের ব্লগিং, ওটায় খুব ছোট ছোট পোস্ট থাকে। ডিসেম্বর, ২০০৭-এর হিসেবে, ব্লগ খোঁজারু ইঞ্জিন টেকনোরাট্টি প্রায় এগারো কোটি বার লাখেরও বেশি ব্লগের হদিশ পেয়েছে

ইতিহাস

মূল প্রবন্ধ: ব্লগিং-এর ইতিহাস এবং অনলাইন দিনপত্রী "ওয়েবলগ" শব্দটা জোম বার্গার [২] ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৯৭-এ প্রথম ব্যবহার করেন। শব্দটার ছোট্ট সংস্করণ "ব্লগ" চালু করেন পিটার মেরহোলজ, ঠাট্টা করে তিনি তাঁর ব্লগ পিটারমে.কম (PeterMe.com)-এর সাইডবারে ১৯৯৯-এর এপ্রিল বা মে মাসের দিকে ওয়েবলগ (weblog) শব্দটা ভেঙে উই ব্লগ (we blog) হিসেবে লেখেন। [৩][৪][৫] তার ঠিক পরপরই, পাইরা ল্যাবস-এ ইভান উইলিয়ামস "ব্লগ" শব্দটা বিশেষ্য এবং ক্রিয়া দুটো হিসেবেই ব্যবহার করা শুরু করেন ("ব্লগ করা", মানে দাঁড়ায় "কারোর ওয়েবলগ সম্পাদনা করা বা কারোর ওয়েবলগে লেখা দেওয়া") এবং পাইরা ল্যাবের ব্লগার পণ্যের সাথে সম্পর্ক রেখে "ব্লগার" শব্দটা ব্যবহার করেন, জনপ্রিয় করে তোলেন পরিভাষাটি। [৬]

উৎসকথা

ব্লগিং জনপ্রিয় হওয়ার আগে, ডিজিটাল গোষ্ঠীগুলোর নানান ধরন ছিলো, ছিলো ইউজনেট (Usenet), ছিলো জিনি(GEnie), বিক্স (BiX)-এর মতো বাণিজ্যিক অনলাইন সার্ভিস, আরো ছিলো পুরনো আমলের কম্পুসার্ভ (CompuServe), ই-মেল লিস্টস [৭] আর বুলেটিন বোর্ড সিস্টেমস (বিবিএস)।১৯৯০-এর দিকে, ইন্টারনেট ফোরাম সফটওয়্যার "থ্রেড"-এর মাধ্যমে কথোপকথন চালানোর ব্যবস্থা শুরু করে। থ্রেড হচ্ছে একটা ভার্চুয়াল "কর্কবোর্ড"-এ বার্তাগুলোর মাঝখানের সাময়িক সংযোগের সমষ্টি।
আধুনিক ব্লগের উৎপত্তি ঘটে অনলাইন দিনপত্রী থেকে, যেখানে লোকেরা তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের বিবরণ রাখতেন। এধরনের বেশিরভাগ লোকেরাই নিজেদের বলতেন ডায়েরিস্টস, জার্নালিস্টস অথবা জুমালারস। সোয়ার্থমোর কলেজ-এ ১৯৯৪-এর দিকে পড়ার সময় ব্যক্তিগত ব্লগিং-করিয়ে জাস্টিন হল-কে অন্যতম আদি ব্লগার [৮] হিসেবে ধরা হয়, যেমনটা ধরা হয় জেরি পুমেল-কেও। ডেভ উইনার-এর স্ক্রিপ্টিং নিউজ-এরও সবচাইতে পুরনো আর সবচাইতে বেশি দিন ধরে চালু থাকা ওয়েবলগ হিসেবে খ্যাতি আছে।[৯][১০]
প্রথম দিককার ব্লগগুলো ছিলো স্রেফ সাধারণ ওয়েবসাইটের হাতে-বানানো উন্নততর উপকরণ। তবে, সময়ের সাথে বিপরীতক্রমে পোস্ট-করা ওয়েব প্রবন্ধগুলো লেখা এবং দেখভাল করা সহজ করার জন্যে বিবর্তিত কৌশলগুলোই প্রকাশ ব্যবস্থাটা বড়সড় একটা জনগোষ্ঠীর কাছে, যারা তেমন প্রযুক্তিদক্ষ নয়, বেশ সহজে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। এতে করেই শেষমেষ আলাদা ধরনের একটা অনলাইন প্রকাশনা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে যেটা আজকাল আমাদের চেনা চেহারার যেরকম ব্লগ সেরকমটা তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু কিছু ব্রাউজার-নির্ভর সফটওয়্যারের ব্যবহার এখন ব্লগের একটা নিতান্তুই সাধারণ ব্যাপার। ব্লগ হোস্ট করার জন্যে আছে নির্ধারিত ব্লগ হোস্টিং সার্ভিস, এছাড়াও ওগুলো ব্লগ সফটওয়্যার কিংবা নিয়মিত ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করেও চালানো যায়।
কিছু আদ্যিকালের ব্লগার, যেমন দ্য মিস্যানথ্রোপিক বিচ ১৯৯৭ সালের দিকে যখন ব্লগিং শুরু করে, তারা নিজেদের অনলাইন উপস্থিতির নাম দিয়েছিলো জাইন (zine)। তখনো "ব্লগ" নামের পারিভাষিক শব্দটা আজকালকার সাধারণ ব্যবহারের পর্যায়ে আসে নি।

ব্লগিং প্লাটফর্ম

যে সমস্ত ওয়েবসাইট এবং ব্লগিং এপ্লিকেশনের মাধ্যমে একটি ব্লগ তৈরি করা যায়, এগুলোকে ব্লগিং প্লাটফর্ম বলা হয়। বর্তমানে কিছু জনপ্রিয় ব্লগিং প্লাটফর্মের মধ্যে গুগলের ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস, টেকনোরাতি, ব্লগ ডট কম, হোপব্লগ ইত্যাদি অন্যতম।

জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি

শুরুটা ধীরগতির হলেও, ব্লগিং দ্রুতই জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৯৯ সাল এবং তার পর থেকেই ব্লগ ব্যবহার বাড়তেই থাকে। প্রথম দিককার কিছু ব্লগ হাতিয়ারের প্রায়-সমসাময়িক আবির্ভাব ব্যবহারটা আরো লোকপ্রিয় করে:
• ১৯৯৮ সালে ব্রুস আবেলসন ওপেন ডায়রি নামান, এতে করে হাজারো অনলাইন দিনপত্রী জন্ম নেয়। ওপেন ডায়রির আবিষ্কার হচ্ছে পাঠক মন্তব্য, এটাই ছিলো প্রথম ব্লগ কমিউনিটি যেখানে পাঠকেরা অন্য লেখকের ব্লগ অন্তর্ভুক্তিতে মন্তব্য করতে পারতেন।
• ১৯৯৯-এর মার্চে ব্র্যাড ফিটজপ্যাট্রিক শুরু করেন লাইভ জার্নাল
• জুলাই, ১৯৯৯-এ এন্ড্রু স্মেলস কোন ওয়েবসাইটে একটা "খবর পাতা" রাখার বিকল্প হিসেবে জন্ম দেন পিটাস.কম-এর, এর পরপরই সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯-এ আসে ডায়েরিল্যান্ড, যেখানে ব্যক্তিগত দিনপত্রীমূলক কমিউনিটির ওপর জোর দেওয়া হয়। [১১] ইভান উইলিয়ামস এবং মেগ হুরিহান (পাইরা ল্যাবস) ব্লগার.কম চালু করেন অগস্ট, ১৯৯৯-এ। (গুগল এটা কিনে নেয় ২০০৩-এর ফেব্রুয়ারিতে)।



 

Saturday, September 19, 2015

টেকটিউনস এর মতো টেম্পলেট একদম ফ্রি

বেশি কিছু লিখলাম না তাড়াতাড়ি লুফে নিন আর না হলে মিস করবেন  । একদম হুবহু টেকটিউনস এর মতো  টেম্পলেট
           তাহলে এখানে ক্লিক করুন একদম  টেকটিউনম এর মত ‍।


Friday, September 18, 2015

জেনে নিন অনলাইনে আয় করার দশ উপায়।

তুমি কি বাংলাদেশে থাকো? তুমি কি অনলাইনে আয় রোজগারের সঠিক উপায় খুঁজছ? তাহলে আমার এই নিবন্ধটি পড়ো। এটি তোমার জন্য একটা সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। কারণ, অনলাইনে যে কিভাবে ঘরে বসে অনেকভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়, তা এই নিবন্ধ পড়লে তুমি জানতে পারবে। আমি তোমাকে বলে রাখতে চাই যে, অনলাইনে আয় করা বাস্তব জীবনে আয় করার মতোই কঠিন। এখানে এমন কিছু রাস্তা আছে যেগুলোতে কাজ শুরু করা সহজ। কিন্তু এগুলো থেকে বেশি টাকা আয় করা যায় না। এর তুলনায় অন্যান্য উপার্জনের পন্থায় ভালো আয়ও হয় আবার তা ধারাবাহিকভাবেও বজায় থাকে। বাংলাদেশ থেকে অনলাইন আয় রোজগারের উপায়গুলো নিম্নে উপস্থাপন করলাম। আশা করি তোমাদের ভাল লাগবে।

১। প্যাড রিভিউ-এর মাধ্যমে আয় রোজগার:
সার্ভে বা জরিপ একটা পুরাতন পদ্ধতি আর আমার মনে হয় তুমি এ বিষয়ে জানো। “সার্ভে” সাইটে তুমি গিয়ে নিবন্ধিত হবে আর সার্ভে বা জরিপ আসার অপেক্ষা করবে; সার্ভে ফর্ম পূরণ করে তোমার মতামত জানাবে, ব্যস! প্রতিটি সার্ভের জন্যে তুমি টাকা পাবে। এখানে, এমন কিছু ব্যবস্থাও আছে যেখানে, ইমেইল পড়ার ও জবাব দেওয়ারও কাজ থাকে। সার্ভে সাইট হিসেবে অন্যতম জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে-সার্ভে সেভী।

২। নিবন্ধ লিখে আয় রোজগার
এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো পাঠকদের লেখায় আপডেট হতে থাকে। কোন কোন সাইটে তারা লেখকদের সাথে মুনাফা ভাগ করে নেয়। তুমি এখানে বিভিন্ন নিবন্ধ লিখতে পারো আর তোমার আর্টিকেল বা নিবন্ধ যতো বেশি পাঠক পড়বে, তুমি ততো বেশি টাকা পাবে। “শুভং” নামক একটা ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের লেখকদের সাথে শতকরা ১০ ভাগ গুগল এডসেন্স-এর লভ্যাংশও ভাগ করে নেয়।

৩। পিটিসি বা প্যাড-টু-ক্লিক এ আয় রোজগার
পিটিসি বা প্যাড-টু-ক্লিক এর সাহায্যে তুমি ওয়েবসাইট(শুধুমাত্র স্পনসরড্ সাইটগুলো‌)ব্রাউজ করার জন্যে টাকা পাবে। এতে আরো উপায় আছে যাতে ওয়েবসাইট সার্ফ করে, ওয়েবসাইট দেখে আর ওয়েবসাইট সার্চ করে টাকা উপার্জন। সত্যকথা বলতে কি, এই সাইটগুলো আয়ের তুলনায় অনেক বেশী সময় অপচয় করে। এরা তোমার একেক ইউনিট এডের পেছনে তোমার ব্যয়ের তুলনায় খুবই কম টাকা দেয়। একটা জনপ্রিয় পিটিসি সাইট যারা ভালো অর্থ প্রদানও করে থাকে সেটি হচ্ছে- বাক্স টু।

৪। তোমার তোলা ছবির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন
যদি তুমি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হয়ে থাকো, তবে তোমার তোলা আকর্ষণীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারো। অনলাইনের ডিজাইনাররা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনেক ছবি খুঁজে থাকেন, তুমি তাদের নিকট তোমার ছবিগুলো বিক্রি করতে পারো। তুমি তোমার ছবিগুলো আই-স্টক-ফটোস্‌ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রিও করতে পারো।

৫। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় রোজগার
গুগল এডসেন্সে আয় করার জন্যে তোমার একটা সচল ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ প্রয়োজন। তুমি নিশ্চয়ই দেখেছো এমন বিলবোর্ড বা টিউনার যেখানে তারা(জনৈক অসাধু ব্যবসায়ীরা) দাবি করে যে, তুমি এখান ১০ থেকে ২০ ডলার দৈনিক আয় করতে পারবে- এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা! গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয় তখন যখন, কেউ গুগলের সেসব এডে ক্লিক করে। কিন্তু, এখানে ইনকাম করার পূর্বে তোমাকে একটা তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে। কিন্তু, তোমাকে সেসব নকল এডসেন্স শেখার জায়গায় এই শেখানো হয় যে, কিভাবে চুরির লেখা দিয়ে একটা নকল ওয়েবসাইট বানাতে হয়, এটাতো আসল নয় কারণ এটা একটা ধোঁকাবাজি।

৬। তোমার মতামত প্রকাশের জন্যে টাকা পাবে
হ্যাঁ, এটিই নতুন দিনের আয় রোজগার মাধ্যম, এখন তুমি টাকা নিয়ে যেকোন ওয়েবসাইট বা কোম্পানির ব্যাপারে তোমার মতামত দিয়ে একটা নিবন্ধ লিখে ফেলো তোমার ব্লগে। প্যাড রিভিউ সাইটগুলো কল্যাণে, এখন তারা(কোম্পানি বা ওয়েবসাইটগুলো) তোমাকে তাদের ব্র্যান্ড, পণ্য বা ওয়েবসাইটের বিষয়ে লেখার জন্যে অর্থ পরিশোধ করবে। তোমার এই মতামত বা ব্লগ তাদের নিয়ে বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করবে আর তারা পাবে অধিক পাঠক ও ক্রেতা। এরকম একটা জনপ্রিয় প্যাড রিভিউ সাইট হচ্ছে-সোস্যাল সম্পর্ক।

৭। এফাইলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আয় রোজগার(সেবামূলক গোষ্ঠীর সাহায্য করা)
এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে তুমি তোমার ওয়েবসাইটে কোন পণ্যের প্রচার করবে আর যখন পণ্য বিক্রি হবে, তখন তুমি এর থেকে কমিশন পাবে। এখানে অনেক আধুনিক আর ভালো পণ্য আছে যেগুলো বিক্রি করা যায় আর মানুষ কিনতেও আগ্রহী; তুমি একজন এফাইলিয়েট হয়েও কাজ করতে পারো। তুমি “ক্লিক ব্যাংক”-এর মাধ্যমে একজন এফাইলিয়েট হয়ে পণ্য বিক্রয় করতে পারো।

৮। ব্যানার এডস্‌ বা “ব্যানার” জাতীয় বিজ্ঞাপন বিক্রি করে আয় রোজগার
যদি তোমার একটা প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে, তবে বিজ্ঞাপনদাতারা তোমার ব্লগে তাদের বিজ্ঞাপন দিতে দ্বিধাবোধ করবে না। একেই বলে, ব্যানার এডস্‌ অথবা সরাসরি ইনকামের সুযোগ। তোমার ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা যতো বেশি হবে তোমার পাঠক সংখ্যা বাড়বে ততো বেশি হবে আর তোমার আয়ও বাড়তে থাকবে।

৯। ফ্রি-লেন্সিং বা অস্থায়ী কর্মী হিসেবে অর্থ উপার্জন
ঘরে বসে ফ্রি-লেন্সিং করা আয় রোজগারের একটা চমৎকার সুযোগ। তোমার যদি ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা এডমিনিস্ট্রেশন বা তদারকির কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে, তুমি অনলাইনে এসব কাজ করে আয় রোজগার করতে পারো। তুমি চাইলে ফ্রিলেন্সিংভিত্তিক একটা ক্যারিয়ারই গড়ে তুলতে পারো।

১০। টুইটার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা
বিজ্ঞাপনদাতাগণ বর্তমানে তাদের ক্যাম্পেইন বা বিজ্ঞাপন উদ্যোগগুলো “টুইটার” বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন। এজন্যে, তোমার কোন ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থাকারও প্রয়োজন নেই। এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে, যারা টুইটার বিজ্ঞাপনের কাজ করে থাকে যেমন- মেগ-এ-পাই।

অনলাইনে আয়ের টাকা বাংলাদেশে কিভাবে পাবে?
১. চেকে টাকা পাওয়া
এটা একটা ব্যাংকের চেক যেটি তুমি যেকোন ব্যাংক থেকেই উত্তোলন করতে পারবে। এডসেন্স ও অন্যন্য সাইট এরকম চেকে টাকা পাঠিয়ে থাকে। এটা বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে সাধারণ ও জনপ্রিয় মাধ্যম।

২. পেপ্যাল-এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া
পেপ্যাল টাকা পাওয়ার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম, যেটি তোমাকে অনলাইনে টাকা পেতে সাহায্য করবে। অবশ্য, এখনও পেপ্যাল বাংলাদেশে আসেনি কিন্তু শীঘ্রই আসবে।

৩. পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট মাস্টারকার্ড
এটা বাংলাদেশে অনলাইনের টাকা পাওয়ার জন্যে নতুন একটা রাস্তা। তুমি ওডেস্ক থেকে মাস্টারকার্ড পেয়ে সেই কার্ড থেকে টাকা উঠাতে পারো। পড়ে নাও-বাংলাদেশে ওডেস্ক পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ প্রাপ্তি।

৪. মানিবুকারস্‌ থেকে টাকা প্রাপ্তি
মানিবুকারস অনেকটা পেপ্যালের মতোই। আর এটা তোমার ব্যাংক একাউন্টের মতনও। বাংলাদেশে এটা প্রচলিত আছে।

৫. এলার্টপে
এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া। এটিও পেপ্যালের মতোই আর বাংলাদেশে প্রচলিত আছে। তুমি এর টাকা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন থেকে উঠাতে পারো।

৬. ই-গোল্ড ব্যবহার টাকা প্রাপ্তি
পেপ্যালের মতোই ই-গোল্ড।

আমি অনলাইনে কত টাকা আয় করতে পারবো?
এটা তোমার পরিশ্রম, দক্ষতা আর পদ্ধতির উপর নির্ভর করবে, তুমি চাইলে ৫০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা প্রতি মাসে আয় করতে পারবে। আয় সম্পূর্ণ নির্ভর করে তোমার বিশ্বস্ততা ও পরিশ্রমের উপর। এখন, তুমি চাইলে ১৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা বা উপরে ৫০,০০০ প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারো। আমার একটা পরামর্শ নিতে পারো, এখানে সত্যিই অনেক টাকা বানানো যায় আর এটা কোন ফাজলামো নয়, তুমি যাই করো গম্ভীর হয়ে করবে আর কঠোর পরিশ্রম করবে। কখনো চুরি, ধোঁকাবাজি করবে না আর তোমার কাজের প্রতি সৎ থাকার চেষ্টা করবে।

ফ্রিলেন্সিং থেকে যেভাবে ভালো আয় করবেন ।

আপনার যদি কোন কাজের স্কিল থেকে থাকে তাহলে ফ্রীল্যান্সিং করে আপনি প্রচুর অর্থ আয় করতে পারবেন। তবে ফ্রীল্যান্সিং সোনার হরিণেরর সঠিক প্রয়োগ না করতে জানলে আপনার অর্থ প্রাপ্তি অধরাই থেকে যাবে। ফ্রীল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিশেষ দিক খেয়াল রাখতে হবে। অনেকেই আছেন যারা ফ্রীল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন বা করছেন কিন্তু আশা-অনুরুপ ফল পাচ্ছেন না। তাঁদের জন্য ফ্রীল্যান্স হেল্পলাইনে আজকে কিছু টিপস দেয়া হল।

আপনি যদি ফ্রীল্যান্সিং করে অর্থ আয় করতে চান তাহলে আপনাকে যা যা করতে হবেঃ

  • প্রচুর প্রোজেক্টে বিড করুণঃ আপনি যত বেশী বিড করবেন তত বেশী কাজ পাবার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এটা ঠিক আপনি এক সাথে সব কাজ করতে পারবেন না তবে আপনি এ ক্ষেত্রে ওই সব কাজ আগে করবেন যে সব কাজে টাকা বেশী। আপনি যদি সঠিক ও বেশী দামের কাজ না পান তাহলে আপনার বিড করা চালিয়ে যান। এভাবে চালিয়ে গেলে আপনার কাজ পাবার সম্ভাবনাও বাড়বে সাথে ভালো মূল্যের কাজও বেছে নিতে পারবেন।
  • প্রোফাইলে আপনার জানা কাজের স্কিল সংযুক্ত করুণঃ ফ্রীল্যান্সিং জগতে কাজ করা যথেষ্ট প্রতিযোগিতা মূলক। এখানে ক্লায়েন্ট চায় ভালো স্কিলের এমপ্লয়ী। যার স্কিল যত ভালো তাঁর কাজ পাবার সম্ভাবনাও ততো বেশী। সুতরাং আপনার স্কিল বাড়ান। (যদি আপনার কাজ জানা থাকে না জানলে সংশ্লিষ্ট কাজ শিখে নিতে পারেন।)
  • ফ্রীল্যান্সিং এর জন্য বেশী বেশী সময় রাখুনঃ আপনি বেশী টাকা আয় করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে বেশী সময় ব্যায় করতে হবে। আপনি যদি দৈনিক ৫ ঘন্টা ফ্রীল্যান্সিং করতে রাখেন একবার ভেবে দেখুন অন্য আরেকজন ১০ ঘন্টা ব্যায় করে আপনার থেকে স্বাভাবিকভাবে বেশী অর্থ আয় করবে। তাই আপনার আয় সর্বচ্চো করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সময় দিতেই হবে।
  • ক্লায়েন্টের সাথে সম্পর্ক সাবধানতার সাথে বজায় রাখুনঃ ক্লায়েন্টের সাথে সু-সম্পর্ক ফ্রীল্যান্সিং এ অর্থ আয়ের সম্ভাবনা বহুগুন বাড়িয়ে দেয়। কারণ আপনি যদি আপনার ক্লায়েন্টের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ঠিক ঠাক ভাবে কাজ করে যান তাহলে ওই ক্লায়েন্ট তাঁর পরবর্তী কাজের জন্য আপনাকে অফার করবে এ ক্ষেত্রে বিড করে কাজ পেতে হচ্ছেনা আপনাকে কাজ আপনার হাতের কাছেই থাকছে।
  • একটি গ্রুপ বা দল তৈরি করুণঃ এটা এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি আপনার ফ্রীল্যান্সিং কাজ থেকে অর্থ আয় অনেক বেশী করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে আপনি আপনার ক্লায়েন্ট থেকে কাজ নিয়ে আপনার দলের সবার মাঝে ভাগ করে দিতে পারেন, কাজ শেষে কাজটি আপনার ক্লায়েন্টকে বুঝিয়ে দিতে পারেন। এতে আপনার সময় ও কাজ বেশী করার সম্ভাবনা বেড়ে গেলো।

আপনি কি ফ্রিল্যানসিং করার স্বপ্ন দেখেন?


আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করার স্বপ্ন দেখে থাকেন (ঘুমে নয় বাস্তবে) তাহলে এই টিউনটি  আপনার জন্য। টিউনটি পড়ার পর আপনি বুঝতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য সুট করবে কি করবেনা। যদি সুট করে তাহলে টিউনটি ফলো করে এগিয়ে যান আর নয়তো এখানেই থেমে যান। স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে অন্য কাজে মনোযোগ দিন।
আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং কি?
এমন কাজ যা কিছু ব্যক্তির দ্বারা সম্পন্ন করা হয় যারা একাডেমিক মৌলিক জ্ঞান অর্জন করার পর টেকনোলজিতে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষভাবে দক্ষ হওয়ার পর ঘরে বা ইচ্ছেমত পৃথিবীর যেকোন জায়গাতে বসে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে দিয়ে অর্থ আয় করার প্রক্রিয়াই আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং। সহজভাবে, ঘরে বসে অন্যের কাজ করে দিয়ে অর্থ উপার্জন করার প্রক্রিয়াই ফ্রিল্যান্সিং।
আপনার কি কি যোগ্যতা লাগবে ফ্রিল্যান্সিং করতে
মিডিয়াম লেভেলের ইংরেজি জানতে হবে, মিনিমাম ইংরেজি আর্টিকেল পড়ে বুঝার এবং নিজ থেকে কিছু বলার বা লিখার ক্ষমতা রাখতে হবে, না হয় কঠোর সাধনা করে অর্জন করতে হবে।
কম্পিউটার ও টেকনোলজি সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকতে হবে। যেমন: অপারেটিং সিস্টেমস, পিসি সেট-আপ, ট্রাবলশুটিং, সফটওয়্যার ইন্সটেলেসান, মাইক্রোসপ্ট অফিস, ইন্টারনেট ইত্যাদি।
নির্দিষ্ট কোন একটি প্রোগ্রামে দক্ষ হতে হবে। সেটা হতে পারে ওয়েব ডেভলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, এস.ই.ও, আর্টিকেল রাইর্টি, থ্রীডি এনিমেশন বা অন্য কোন মার্কেট ডিমান্ডেবল প্রোগ্রাম।
ধৈর্য্যের উপর ধৈর্য্য থাকতে হবে। কাজ শিখার জন্য সঠিকভাবে এগিয়ে গেলে সময় লাগবে মিনিমাম এক বছর। কাজে প্রফেশনালিজম আসতে ও কাজ করে হ্যান্ডসাম আয় করতে আরো এক বছর ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। এটা মনে রাখবেন সফল কেউ এক বছরেও হতে পারে কেউবা ৫ বছরে। এটা চাকুরী বলেন, ব্যবসা বলেন বা প্রবাস, সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
উপরের চারটি যোগ্যতা যদি আপনার থাকে তাহলে আপনার স্বপ্ন বাস্তব হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমার পরবর্তী লিখা ফলো করুন আর স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে থাকেন। আর যদি যোগ্যতাগুলো না থাকে তাহলে প্রথমে এগুলো অর্জন করুন তারপর স্বপ্ন দেখুন। আর যদি অর্জন করতে না পারেন বা পারবেন না বলে মনে হয় তাহলে অন্য কাজ দেখুন। আপনাকে দিয়ে আর যাই হোক ফ্রিল্যান্সিং হবে না। এখানে আপনার জন্য ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নেই।
যদি উপরের গুণাবলিগুলো আপনার থাকে তাহলে... সংগ্রহ করুন...
একটা কম্পিউটার ইন্টারনেট সংযোগসহ (মিনিমাম ডুয়েল কোর, কোর আই থ্রী বা তার উপরে হলে ভাল হয়)।
নিরিবিলি প্রাইভেট রোম (যেখানে ২৪ ঘন্টা কাজ করা যায়, কেউ ডিস্টার্ব করবে না এমন)।
কিছু টাকা যাতে মিনিমাম ছয় মাস চলা যায় কোন টেনশন ছাড়া।
যে সব সাইটে সাইন আপ করতে হবে...
upwork.com
envato.com
অন্যান্য
এ ছাড়া আরো অনেক সাইট আছে যেগুলিতে সাইন আপ করে কাজের জন্য বিড় করা যায় বা নিজের দক্ষতাকে বিক্রি করা যায় তবে আমি যেগুলো নিয়ে কাজ করিনা বা ভালভাবে জানিনা সেগুলো নিয়ে কিছু বলব না।
upwork:
প্রথমে সাইন-আপ করে নিন। সবকিছু দিয়ে প্রোফাইল ১০০% করুন। সবকিছু সঠিক তথ্য দিন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনি যে কাজে দক্ষ সে কাজে দক্ষ এমন কারো প্রোফাইল দেখে নিজেরটা নিজে তৈরি করুন। কোনভাবেই কপি পেষ্ট করবেন না। পরীক্ষা দিয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করুন। নিজের তৈরি করা সেম্পল কাজগুলো পোর্টপোলিও হিসেবে যোগ করুন। এখন আস্তে আস্তে কাজে বিড করুন। কাজের বর্ণনা পড়ে যে কাজটা আপনি পারবেন বলে মনে হয় কেবলমাত্র সেটাতেই বিড করুন।