Online Earn, September 2015 ~ Tech Live BD

Sunday, September 20, 2015

আসুন জেনেনি কম্পিউটের ইতিহাস !

 আসুন জেনে নিন কম্পিউটের ইতিহাস
গণকযন্ত্র বা কম্পিউটার (ইংরেজি: Computer কম্‌পিঊটার্‌) হল এমন একটি যন্ত্র যা সুনির্দিষ্ট নির্দেশ অনুসরণ করে গাণিতিক গণনা সংক্রান্ত কাজ খুব দ্রুত করতে পারে।
কম্পিউটার (computer) শব্দটি গ্রিক কম্পিউট (compute)শব্দ থেকে এসেছে। compute শব্দের অর্থ হিসাব বা গণনা করা। আর কম্পিউটার (computer) শব্দের অর্থ গণনাকারী যন্ত্র। কিন্তু এখন আর কম্পিউটারকে শুধু গণনাকারী যন্ত্র বলা যায় না। কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা তথ্য গ্রহণ করে এবং বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে তা বিশ্লেষণ ও উপস্থাপন করে। সভ্যতার বিকাশ এবং বর্তমানে তার দ্রুত অগ্রগতির মূলে রয়েছে গণিত ও কম্পিউটারের প্রবল প্রভাব। বাংলাদেশে প্রথম কম্পিউটার আসে ১৯৬৪ সালে।

ইতিহাস

বর্তমান প্রযুক্তিতে কম্পিউটারের অবদানের অন্তরালে রয়েছে শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে মানুষের নিরলস পরিশ্রম, উদ্ভাবনী শক্তি ও গবেষণার স্বাক্ষর। প্রাগৈতিহাসিক যুগে গণনার যন্ত্র উদ্ভাবিত বিভিন্ন কৌশল / প্রচেষ্টাকে কম্পিউটার ইতিহাস বলা যায়। প্রাচীন কালে মানুষ সংখ্যা বুঝানোর জন্য ঝিনুক, নুড়ি, দড়ির গিট ইত্যাদি ব্যবহার করত। পরবর্তীতে গণনার কাজে বিভিন্ন কৌশল ও যন্ত্র ব্যবহার করে থাকলেও অ্যাবাকাস (Abacus) নামক একটি প্রাচীন গননা যন্ত্রকেই কম্পিউটারের ইতিহাসে প্রথম যন্ত্র হিসেবে ধরা হয়। অর্থাৎ অ্যাবাকাস থেকেই কম্পিউটারের ইতিহাসের শুভযাত্রা। এটি আবিষ্কৃত হয় খ্রিষ্টপূর্ব ২৪০০ সালে ব্যাবিলনে। অ্যাবাকাস ফ্রেমে সাজানো গুটির স্থান পরিবর্তন করে গননা করার যন্ত্র। খ্রিস্টপূর্ব ৪৫০/৫০০ অব্দে মিশরে বা চীনে গননা যন্ত্র হিসেবে অ্যাবাকাস তৈরি হয়।
১৬১৬ সালে স্কটল্যান্ডের গণিতবিদ জন নেপিয়ার গণনার কাজে ছাপা বা দাগ কাটাকাটি/ দন্ড ব্যবহার করেন । এসব দন্ড নেপিয়ার (John Napier) এর অস্থি নামে পরিচিত।
১৬৪২ সারে ১৯ বছর বয়স্ক ফরাসি বিজ্ঞানী ব্লেইজ প্যাসকেল সর্বপ্রথম যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর আবিষ্কার করেন। তিনি দাঁতযুক্ত চাকা বা গিয়ারের সাহায্যে যোগ বিয়োগ করার পদ্ধতি চালু করেন।
১৬৭১ সালের জার্মান গণিতবিদ গটফ্রাইড ভন লিবনিজ প্যাসকেলের যন্ত্রের ভিত্তিতে চাকা ও দন্ড ব্যবহার করে গুণ ও ভাগের ক্ষমতাসম্পন্ন আরো উন্নত যান্ত্রিক ক্যালকুলেটর তেরি করেন। তিনি যন্ত্রটির নাম দেন রিকোনিং যন্ত্র (Rechoning Mechine)। যন্ত্রটি তাত্ত্বিক দিক দিয়ে ভাল হলেও যান্ত্রিক অসুবিধার জন্য জনপ্রিয় হয়ে উঠেনি। পরে ১৮২০ সালে টমাস ডি কোমার রিকোনিং যন্ত্রের অসুবিধা দূর করে লিবনিজের যন্ত্রকে জনপ্রিয় করে তোলেন।

উনিশ শতকের শুরুর দিকে আধুনিক একটি যন্ত্রের নির্মাণ ও ব্যবহারের ধারণা (যা কেবলমাত্র যান্ত্রিকভাবে, মানে যেকোনও রকম বুদ্ধিমত্তা ব্যতিরেকে, গাণিতিক হিসাব করতে পারে) প্রথম সোচ্চার ভাবে প্রচার করেন চার্লস ব্যাবেজ। তিনি এটির নাম দেন ডিফারেন্স ইন্জিন (Difference Engine)। এই ডিফারেন্স ইঞ্জিন নিয়ে কাজ করার সময় (১৮৩৩ সালে) তিনি অ্যানালিটিক্যাল ইন্জিন নামে আরও উন্নত ও সর্বজনীন একটি যন্ত্রে ধারনা লাভ করেন। কিন্তু প্রয়োজনীয় যন্ত্র ও অর্থের অভাবে কোনোটির কাজই তিনি শেষ করতে পারেননি।
কম্পিউটার বিজ্ঞানের সত্যিকার সূচনা হয় অ্যালান টুরিং এর প্রথমে তাত্ত্বিক ও পরে ব্যবহারিক গবেষণার মাধ্যমে।
বিশ শতকের মধ্যভাগ থেকে আধুনিক কম্পিউটারের বিকাশ ঘটতে শুরু করে। ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবনের ফলে মাইক্রোকম্পিউটারের দ্রুত বিকাশ ঘটতে থাকে। বাজারে প্রচলিত হয় বিভিন্ন প্রকৃতি ও আকারের কম মূল্যের অনেক রকম পার্সোনাল কম্পিউটার (Personal Computer) বা পিসি (PC)। সে সঙ্গে উদ্ভাবিত হয়েছে অনেক রকম অপারেটিং সিস্টেম, প্রোগ্রামের ভাষা, অগণিত ব্যবহারিক প্যাকেজ প্রোগ্রাম। এরসাথে ব্যাপক বিস্তৃতি ঘটেছে কম্পিউটার নেটওয়ার্ক ও ইন্টারনেটের এবং সংশ্লিষ্ট সেবা ও পরিসেবার। কম্পিউটার শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠিত ও সম্প্রসারিত হয়েছে অসংখ্য প্রাতিষ্ঠানিক ও অপ্রাতিষ্ঠানিক কম্পিউটার শিক্ষা ও গবেষণা প্রতিষ্ঠান। সাম্প্রতিক কালে কম্পিউটার ও তথ্য প্রযুক্তি (Information Technology) বা আইটি (IT) ব্যবসা-বাণিজ্যের বিরাট অংশ দখল করেছে এবং কর্মসংস্থান হয়ে পড়েছে অনেকাংশেই কম্পিউটার নির্ভর।[১]
যুক্তরাষ্ট্রের ইন্টেল কর্পোরেশন ১৯৭১ সালে মাইক্রোপ্রসেসর উদ্ভাবন করলে কম্পিউটারের আকৃতি ও কার্যক্ষমতায় এক বিরাট বিপ্লব সাধিত হয়। বাজারে আসতে শুরু করে মাইক্রোপ্রসেসর ভিত্তিক কম্পিউটার। ১৯৮১ সালে বাজারে আসে আই.বি.এম কোম্পানির পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি। এর পর একের পর এক উদ্ভাবিত হতে থাকে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মাইক্রোপ্রসেসর এবং তৈরি হতে থাকে শক্তিশালী পিসি। আই.বি.এম কোম্পানি প্রথম থেকেই আই.বি.এম কমপ্যাটিবল কম্পিউটার (IBM compatible computer) তৈরির ক্ষেত্রে কোনো বাধা-নিষেধ না রাখায় এ ধরনের কম্পিউটারগুলির মূল্য ব্যাপকহারে হ্রাস পায় এবং এর ব্যবহারও ক্রমাগত বাড়তে থাকে। অন্যদিকে আই.বি.এম কোম্পানির পাশাপাশি অ্যাপল কম্পিউটার ইনকর্পোরেট (Apple Computer Inc) তাদের উদ্ভাবিত অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ (Apple-Macintosh) কম্পিউটার বাজারে ছাড়ে। কিন্তু অ্যাপল কোম্পানি তাদের কমপ্যাটিবল কম্পিউটার তৈরির ক্ষেত্রে কোনোরূপ উদারতা প্রদর্শন না করায় ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের মূল্য থেকে যায় অত্যধিক বেশি, যার ফলে অ্যাপল তেমন জনপ্রিয়তা লাভ করতে পারে নি। তবে বিশেষ ধরনের কিছু ব্যবহারিক সুবিধার কারণে মূলত মুদ্রণ শিল্পে অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ কম্পিউটার ব্যাপকভাবে ব্যবহূত হতো।[১]

বাংলাদেশে কম্পিউটারে ইতিহাস

বাংলাদেশে কম্পিউটার ব্যবহারের সূচনা হয় ষাটের দশকে এবং নববই-এর দশকে তা ব্যাপকতা লাভ করে।
দশকের মধ্যভাগ থেকে এ দেশে তথ্য প্রযুক্তি ব্যাপক পরিচিতি লাভ করতে শুরু করে। পাকিস্তান পরমাণু শক্তি কমিশনের পরমাণু শক্তি কেন্দ্র, ঢাকা-তে ১৯৬৪ সালে স্থাপিত হয় বাংলাদেশের (তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান) প্রথম কম্পিউটার। এটি ছিল আইবিএম (International Business Machines - IBM) কোম্পানির 1620 সিরিজের একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার (Mainframe Computer)। যন্ত্রটির প্রধান ব্যবহার ছিল জটিল গবেষণা কাজে গাণিতিক হিসাব সম্পন্নকরণ।[১]
ষাটের দশকে দেশে ও বিদেশে বৈজ্ঞানিক গবেষণাসহ ব্যাংক-বীমা ও ব্যবসা-বাণিজ্যে দ্রুত প্রসার ঘটতে শুরু করে; এবং এজন্য রুটিন হিসাবের পরিমাণ যেমন বৃদ্ধি পায় তেমনি প্রয়োজন হয়ে পড়ে হিসাবে দ্রুততা আনয়নের। বড় বড় অনেক প্রতিষ্ঠানে হাতে-কলমে হিসাব পরিচালনা প্রায় অসম্ভব হয়ে ওঠে। এসময় দেশের কয়েকটি বৃহৎ প্রতিষ্ঠান ব্যয়বহুল মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপন করে। ষাটের দশকের শেষ দিকে তদানীন্তন হাবিব ব্যাংক IBM 1401 কম্পিউটার এবং ইউনাইটেড ব্যাংক IBM 1901 কম্পিউটার স্থাপন করে। প্রধানত ব্যাংকের যাবতীয় হিসাব-নিকাশের জন্য ব্যবহূত এসব কম্পিউটার ছিল তৃতীয় প্রজন্মের মেইনফ্রেম ধরনের।[১]
স্বাধীনতার পূর্বে, ১৯৬৯ সালে পরিসংখ্যান ব্যুরোতে স্থাপিত হয় একটি IBM 360 কম্পিউটার। আদমজী জুট মিলেও এ সময় একটি মেইনফ্রেম কম্পিউটার স্থাপিত হয়েছিল। সীমিত পরিসরে হলেও স্বাধীনতা পূর্বকালে দেশের বিশ্ববিদ্যালয় স্তরে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, ফলিত পদার্থবিজ্ঞান, তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক্স কৌশল প্রভৃতি বিষয়ের পাঠ্যক্রমে কম্পিউটার হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার-এর অন্তর্ভুক্তি শুরু হয়। ১৯৭২-এর পর থেকে পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো নামক প্রতিষ্ঠানে স্থাপিত হয় IBM 370, IBM 9100 এবং IBM 4341 প্রভৃতি বৃহৎ কম্পিউটার।[১]

বাংলা সফটওয়্যার উদ্ভাবনের ইতিহাস

কম্পিউটারে প্রথম বাংলা লেখা সম্ভব হয় ১৯৮৭ সালে এবং এ সাফল্যের কৃতিত্ব মাইনুল ইসলাম নামক একজন প্রকৌশলির। তিনি নিজের উদ্ভাবিত বাংলা ফন্ট ‘মাইনুলিপি’ ব্যবহার করে অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে বাংলা লেখার ব্যবস্থা করেন। এ ক্ষেত্রে বাংলার জন্য আলাদা কোনো কি-বোর্ড (keyboard) ব্যবহার না করে ইংরেজি কি-বোর্ড দিয়েই কাজ চালানো হয়েছিল। ইংরেজি ও বাংলার আলাদা ধরনের বর্ণক্রম এবং বাংলার যুক্তাক্ষরজনিত সমস্যা সমাধান করা হয়েছিল ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের চার স্তর কি-বোর্ড (4 layer keyboard) ব্যবহারের সুবিধাকে কাজে লাগিয়ে। মাইনুলিপির পর পরই ‘শহীদলিপি’ ও ‘জববারলিপি’ নামে আরও দুটো বাংলা ফন্ট উদ্ভাবিত হয় এবং একই পদ্ধতিতে ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ব্যবহূত হয়। পরবর্তী বছরে অর্থাৎ ১৯৮৮ সালে আনন্দ কম্পিউটার্স নামক একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে তৈরি হয় অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারে ব্যবহার উপযোগী প্রথম ইন্টারফেস ‘বিজয়’। এ সময়েই প্রথম বাংলা কি-বোর্ড লে-আউট তৈরি হয়। প্রথম পর্যায়ের বাংলা কি-বোর্ডগুলির মধ্যে ‘বিজয়’ এবং ‘মুনীর’ উল্লেখযোগ্য। ইন্টারফেস পদ্ধতিতে বাংলা ফন্ট ও বাংলা কি-বোর্ডকে কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেমের (Operating System or OS) সঙ্গে জুড়ে দেওয়া হয় এবং এ কি-বোর্ডকে ক্রিয়াশীল করে ও ফন্ট নির্বাচন করে কম্পিউটারে বাংলা লেখা যায়। বিজয় ইন্টারফেসটি ছিল ম্যাকিনটোশ ভিত্তিক এবং অ্যাপল-ম্যাকিনটোশ কম্পিউটারের মূল্য অত্যধিক হওয়ায় এর ব্যবহারকারীর সংখ্যা ছিলো সীমিত, মূলত প্রকাশনার কাজেই তা ব্যবহূত হতো।[১]
আই.বি.এম কম্পিউটারের ব্যবহারকারী আগাগোড়াই বেশি এবং এ বিপুলসংখ্যক ব্যবহারকারীর কথা বিবেচনা করেই ১৯৯২ সালের প্রথম দিকে ‘বর্ণ’ নামে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ বাংলা ওয়ার্ডপ্রসেসিং সফটওয়্যার উদ্ভাবন করে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায়ের দুজন ছাত্র রেজা-ই আল আমিন আব্দুল্লাহ (অংক) ও মোঃ শহীদুল ইসলাম (সোহেল)। প্রতিভাবান দু কিশোর প্রোগ্রামারের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান সেইফওয়ার্কস-এর পক্ষ থেকে এ স্বয়ংসম্পূর্ণ ওয়ার্ডপ্রসেসরটির উদ্ভাবন ছিল বাংলা সফটওয়্যারের ইতিহাসে এক যুগান্তকারী ঘটনা। ওয়ার্ডপ্রসেসরটি ছিল ‘ডস’ (Disk Operating System - DOS) ভিত্তিক, কিন্তু প্রোগ্রামটির নিজস্ব আঙ্গিক ছিল উইন্ডোস (Windows)-এর মতো। বর্ণ-তে তিন ধরণের কি-বোর্ড ব্যবহার করা যেতো মুনীর, বিজয় এবং ইজি কি-বোর্ড (easy keyboard)। বর্ণ সফটওয়্যারটিতে কি-বোর্ড পুনর্গঠনের (customise) সুবিধাও অন্তর্ভুক্ত ছিল। অর্থাৎ, কেউ ইচ্ছা করলে নিজের পছন্দ বা সুবিধা অনুযায়ী নতুন কি-বোর্ড লে-আউট তৈরি করে নেওয়ার স্বাধীনতা ছিল। পরবর্তীতে মাইক্রোসফট কর্পোরেশন ক্রমাগত উন্নত থেকে উন্নততর সংস্করণের ওয়ার্ড প্রসেসর বাজারে ছাড়তে থাকলে ১৯৯৩ সালে বাংলা ফন্ট ও বাংলা কি-বোর্ডকে আই.বি.এম কম্পিউটারের আধুনিক অপারেটিং সিস্টেম ‘মাইক্রোসফট উইন্ডোজ’ (Microsoft Windows)-এর সঙ্গে ব্যবহারের জন্য ইন্টারফেস ‘বিজয়’ উদ্ভাবিত হয়। এর পর ১৯৯৪ সালে ‘লেখনী’ নামেও একটি ইন্টারফেস তৈরি হয়। যদিও ‘আবহ’ (১৯৯২-এর শেষে উদ্ভাবিত) আই.বি.এম কম্পিউটারে ব্যবহার উপযোগী প্রথম ইন্টারফেস, কিন্তু কিছু ত্রুটির কারণে এটি তেমন একটা ব্যবহূত হয়নি।[১]

কম্পিউটার সিস্টেম

সিস্টেম হলো কতগুলো ইন্টিগ্রেটেড উপাদানের সম্মিলিত প্রয়াস যা কিছু সাধারণ উদ্দেশ্য সাধনের জন্য কাজ করে। কম্পিউটার সিস্টেমের উপাদানগুলো নিম্নরূপ :-
  1. হার্ডওয়্যার,
  2. সফটওয়্যার,
  3. হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী,
  4. ডেটা বা ইনফরমেশন

হার্ডওয়্যার

কম্পিউটারের বাহ্যিক আকৃতিসম্পন্ন সকল যন্ত্র, যন্ত্রাংশ ও ডিভাইস সমূহকে হার্ডওয়্যার বলে। কম্পিউটারের হার্ডওয়্যারকে প্রাথমিকভাবে তিনভাগে ভাগ করা যায়।
  1. * ইনপুট যন্ত্রপাতি : কী-বোর্ড, মাউস, ডিস্ক, স্ক্যানার, কার্ড রিডার, ডিজিটাল ক্যামেরা ইত্যাদি।
  2. * সিস্টেম ইউনিট : হার্ড ডিস্ক, মাদারবোর্ড, এজিপি কার্ড ইত্যাদি।
  3. * আউটপুট যন্ত্রপাতি : মনিটর, প্রিন্টার, ডিস্ক, স্পিকার ইত্যাদি।

সফটওয়্যার

সমস্যা সমাধান বা কার্য সম্পাদনের উদ্দেশ্যে কম্পিউটারের ভাষায় ধারাবাহিকভাবে সাজানো নির্দেশমালাকে প্রোগ্রাম বলে। প্রোগ্রাম বা প্রোগ্রাম সমষ্টি যা কম্পিউটারের হার্ডওয়্যার ও ব্যবহারকারীর মধ্যে সম্পর্ক সৃষ্টির মাধ্যমে হার্ডওয়্যারকে কার্যক্ষম করে তাকেই সফটওয়্যার বলে। কম্পিউটারের সফট্ওয়্যারকে প্রধানত দুই ভাগে ভাগ করা যায়।
  1. * সিস্টেম সফটওয়্যার : সিস্টেম সফট্‌ওয়্যার কম্পিউটারের বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে কাজের সমন্বয় রক্ষা করে ব্যবহারিক প্রোগ্রাম নির্বাহের জন্য কম্পিউটারের সামর্থ্যকে সার্থকভাবে নিয়োজিত রাখে।
  2. এপ্লিকেশন সফটওয়্যার : ব্যবহারিক সমস্যা সমাধান বা ডেটা প্রক্রিয়াকরণের জন্য ব্যবহিত প্রোগ্রামকে অ্যাপ্লিকেশন সফট্‌ওয়্যার বলে। ব্যবহারিক সমস্যা সমাধানের জন্য অনেক রকম তৈরি প্রোগ্রাম বাণিজ্যিক পণ্য হিসেবে পাওয়া যায়, যাকে সাধারণত প্যাকেজ প্রোগ্রামও বলা হয়।

হিউম্যানওয়্যার বা ব্যবহারকারী

ডেটা সংগ্রহ, প্রোগ্রাম বা ডেটা সংরক্ষণ ও পরীক্ষাকরণ, কম্পিউটার চালানো তথা প্রোগ্রাম লিখা, সিস্টেমগুলো ডিজাইন ও রেকর্ড লিপিবদ্ধকরণ এবং সংরক্ষণ, সফট্‌ওয়্যার ও হার্ডওয়্যারের মধ্যে সমন্বয় সাধন ইত্যাদি কাজগুলোর সাথে যুক্ত সকল মানুষকে একত্রে হিউম্যানওয়্যার (Humanware) বলা হয়।

ডেটা/ইনফরমেশন

ইনফরমেশন বা তথ্যের ক্ষুদ্রতম একককে ডেটা বলে। ডেটা হল সাজানো নয় এমন কিছু বিশৃঙ্খল ফ্যাক্ট (Raw Fact)ডেটা প্রধানত দুরকম -
(ক) নিউমেরিক (Numeric) ডেটা বা সংখ্যাবাচক ডেটা। যেমনঃ ২৫,১০০,৪৫৬ ইত্যাদি। (খ) অ-নিউমেরিক (Non-Numeric) ডেটা। যেমনঃ মানুষ, দেশ ইত্যাদির নাম, জীবিকা, জাতি কিংবা ছবি, শব্দ ও তারিখ প্রভৃতি।

অপারেটিং সিস্টেম

অপারেটিং সিস্টেম হচ্ছে এমন একটি সফটওয়্যার যা কম্পিউটার প্রোগ্রামের এক্সিকিউশনকে নিয়ন্ত্রণ করে এবং যা সিডিউলিং, ডিবাগিং, ইনপুট/আউটপুট কন্ট্রোল, একাউন্টিং, কম্পাইলেশন, স্টোরেজ অ্যাসাইনমেন্ট, ডেটা ম্যানেজমেন্ট এবং আনুষঙ্গিক কাজ করে থাকে। বর্তমানে মাইক্রো কম্পিউটার বা পিসিতে বহুল ব্যবহৃত অপারেটিং সিস্টেমগুলো হলো - ডস, উইন্ডোজ ৯৫, উইন্ডোজ ৯৮, উইন্ডোজ ২০০০, ইউনিক্স, উবুন্টু, মিন্ট (অপারেটিং সিস্টেম), MANDRIVA, ডেবিয়ান, ফেডোরা, ম্যাক ওএসএক্স, উইন্ডোজ এক্সপি, উইন্ডোজ ভিস্তা, উইন্ডোজ ৭, উইন্ডোজ ৮, উইন্ডোজ ৮.১, উইন্ডোজ ১০, লিনাক্স

প্রয়োগ

কম্পিউটারের রয়েছে প্রচুর ব্যবহার| ঘরের কাজ থেকে শুরু করে ব্যবসায়িক, বৈজ্ঞানিক ইত্যাদি নানা ক্ষেত্রে এর অপরিসীম ব্যবহার| সর্বোপরি যোগাযোগ ক্ষেত্রে এটি এনেছে অনন্য বিপ্লব| চিকিৎসা ও মানবকল্যাণেও এটি এক অনন্য সঙ্গী| এক কথায় কম্পিউটার এমন এক যন্ত্র যা প্রায় সকল কাজ করতে সক্ষম।
  1. জি আই এস এ কম্পিউটার: GIS প্রযুক্তির ক্ষেত্রে কমপিউটার ব্যবহার করা হয়। এ প্রযুক্তিতে কম্পিউটারের সাহায্যে মানচিত্রে বিভিন্ন তথ্য যুক্ত করা হয়।

কম্পিউটারের প্রকার

  1. এনালগ কম্পিউটার
  2. ডিজিটাল কম্পিউটার
  3. হাইব্রিড কম্পিউটার
  1. মাইক্রো কম্পিউটার
  2. মিনি কম্পিউটার
  3. মেইনফ্রেম কম্পিউটার
  4. সুপার কম্পিউটার
  1. ডেক্সটপ
  2. ল্যাপটপ

এনালগ কম্পিউটার

যে কম্পিউটার একটি রাশিকে অপর একটি রাশির সাপেক্ষে পরিমাপ করতে পারে,তাই এনালগ কম্পিউটার। এটি উষ্ণতা বা অন্যান্য পরিমাপ যা নিয়মিত পরিবর্তিত হয় তা রেকর্ড করতে পারে।মোটর গাড়ির বেগ নির্ণায়ক যন্ত্র এনালগ কম্পিউটারের একটি উৎকৃষ্ট উদাহরণ।

ডিজিটাল কম্পিউটার

ডিজিটাল কম্পিউটার দুই ধরনের বৈদ্যুতিক ভোল্টেজ দ্বারা সকল কিছু প্রকাশ করা হয়। ভোল্টেজের উপস্থিতিকে ১ এবং অনুপস্থিতিকে ০ দ্বারা প্রকাশ করা হয় এটি যে কোন গণিতের যোগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে পারে এবং বিয়োগ,গুণ ও ভাগের মতো অন্যান্য অপারেশন সম্পাদন করে। আধুনিক সকল কম্পিউটার ডিজিটাল কম্পিউটার।

হাইব্রিড কম্পিউটার

হাইব্রিড কম্পিউটার হলো এমন একটি কম্পিউটার যা এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের সর্বোত্তম বৈশিষ্ট্যগুলোর সমন্বয়ে গঠিত। এটি বৈজ্ঞানিক গবেষণায় ব্যবহার করা হয়। সুতরাং বলা যায়, প্রযুক্তি ও ভিত্তিগত দিক থেকে এনালগ ও ডিজিটাল কম্পিউটারের আংশিক সমন্বয়ই হচ্ছে হাইব্রিড কম্পিউটার। সাধারণত হাইব্রিড কম্পিউটারে তথ্য সংগ্রহ করা হয় অ্যানালগ পদ্ধতিতে এবং গণনা করা হয় ডিজিটাল পদ্ধতিতে। যেমন আবহাওয়া দপ্তরে ব্যবহৃত হাইব্রিড কম্পিউটার অ্যানালগ পদ্ধতিতে বায়ুচাপ,তাপ ইত্যাদি পরিমাপ করে ডিজিটাল পদ্ধতিতে গণনা করে আবহাওয়ার পূর্বাভাস দিয়ে থাকে।

মেইনফ্রেম কম্পিউটার

মিনি কম্পিউটার

যে কম্পিউটার টার্মিনাল লাগিয়ে প্রায় এক সাথে অর্ধ শতাধিক ব্যবহারকারী ব্যবহার করতে পারে তাই মিনি কম্পিউটার। এটা শিল্প-বাণিজ্য ও গবেষণাগারে ব্যবহার করা হয়ে থাকে।যেমন – pdp-11, ibms/36, ncrs/9290, IBM 9375.

মাইক্রো কম্পিউটার

মাইক্রো কম্পিউটারকে পার্সোনাল কম্পিউটার বা পিসি বলেও অভিহিত করা হয়। ইন্টারফেস চিপ (Mother Board) , একটি মাইক্রোপ্রসেসর, সিপিইউ, র‍্যাম, রম, হার্ডডিস্ক ইত্যাদি সহযোগে মাইক্রো কম্পিউটার গঠিত হয়। দৈনন্দিন জীবনের সর্বক্ষেত্রে এ কম্পিউটারের ব্যবহার দেখা যায়। ম্যকিনটোস আইবিএম পিসি এ ধরনের কম্পিউটার।

সুপার কম্পিউটার


অত্যন্ত শক্তিশালী ও দ্রুতগতিসম্পন্ন কম্পিউটারকে সুপার কম্পিউটার বলে। এ কম্পিউটারের গতি প্রায় প্রতি সেকেন্ডে ১ বিলিয়ন ক্যারেক্টর। কোনো দেশের আদমশুমারির মতো বিশাল তথ্য ব্যবস্থাপনা করার মতো স্মৃতিভাণ্ডার বিশিষ্ট কম্পিউটার হচ্ছে সুপার কম্পিউটার। CRAY 1, supers xll এ ধরনের কম্পিউটার।

ট্যাবলেট কম্পিউটার

ট্যাবলেট কম্পিউটার এক ধরণের মাইক্রো কম্পিউটার। যা পাম টপ কম্পিউটার নামে পরিচিত। এটি স্পর্শপর্দা সম্বলিত প্রযুক্তি। এটি এনড্রয়েড এবং উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেমে চলে।

আসুন জেনে নেই ব্লগের ইতিহাস !

 আমরা অনেকেই ব্লগ করি কিন্তু ব্লগের ইতিহাস জানিনা আসুন জেনে নেই ব্লগের ইতিহাস

ব্লগ শব্দটি ইংরেজ Blog এর বাংলা প্রতিশব্দ, যা এক ধরণের অনলাইন ব্যক্তিগত দিনলিপি বা ব্যক্তিকেন্দ্রিক পত্রিকা। ইংরেজি Blog শব্দটি আবার Weblog এর সংক্ষিপ্ত রূপ। যিনি ব্লগে পোস্ট করেন তাকে ব্লগার বলা হয়। ব্লগাররা প্রতিনিয়ত তাদের ওয়েবসাইটে কনটেন্ট যুক্ত করেন আর ব্যবহারকারীরা সেখানে তাদের মন্তব্য করতে পারেন। এছাড়াও সাম্প্রতিক কালে ব্লগ ফ্রিলান্স সাংবাদিকতার একটা মাধ্যম হয়ে উঠছে। সাম্প্রতিক ঘটনাসমূহ নিয়ে এক বা একাধিক ব্লগার রা এটি নিয়মিত আপডেট করেন।
বেশিরভাগ ব্লগই কোন একটা নির্দিষ্ট বিষয়সম্পর্কিত ধারাবিবরণী বা খবর জানায়; অন্যগুলো আরেকটু বেশিমাত্রায় ব্যক্তিগত পর্যায়ের অনলাইন দিনপত্রী/অনলাইন দিনলিপিসমূহ। একটা নিয়মমাফিক ব্লগ লেখা, ছবি, অন্য ব্লগ, ওয়েব পেজ আর এবিষয়ের অন্য মাধ্যমের লিংকের সমাহার/সমষ্টি। পাঠকদের মিথষ্ক্রিয়াময় ছাঁচে মন্তব্য করার সুবিধে-রাখা বেশিরভাগ ব্লগের একটা গুরুত্বপূর্ণ দিক। প্রায় ব্লগই মূলত লেখায় আকীর্ণ, কিছু কিছু আবার জোর দেয় শিল্প (আর্ট ব্লগ), ছবি (ফটোব্লগ), ভিডিও (ভিডিও ব্লগিং), সঙ্গীত (এমপিথ্রিব্লগ) আর অডিওর (পডকাস্টিং) ওপর। মাইক্রোব্লগিং-ও আরেকধরনের ব্লগিং, ওটায় খুব ছোট ছোট পোস্ট থাকে। ডিসেম্বর, ২০০৭-এর হিসেবে, ব্লগ খোঁজারু ইঞ্জিন টেকনোরাট্টি প্রায় এগারো কোটি বার লাখেরও বেশি ব্লগের হদিশ পেয়েছে

ইতিহাস

মূল প্রবন্ধ: ব্লগিং-এর ইতিহাস এবং অনলাইন দিনপত্রী "ওয়েবলগ" শব্দটা জোম বার্গার [২] ১৭ ডিসেম্বর, ১৯৯৭-এ প্রথম ব্যবহার করেন। শব্দটার ছোট্ট সংস্করণ "ব্লগ" চালু করেন পিটার মেরহোলজ, ঠাট্টা করে তিনি তাঁর ব্লগ পিটারমে.কম (PeterMe.com)-এর সাইডবারে ১৯৯৯-এর এপ্রিল বা মে মাসের দিকে ওয়েবলগ (weblog) শব্দটা ভেঙে উই ব্লগ (we blog) হিসেবে লেখেন। [৩][৪][৫] তার ঠিক পরপরই, পাইরা ল্যাবস-এ ইভান উইলিয়ামস "ব্লগ" শব্দটা বিশেষ্য এবং ক্রিয়া দুটো হিসেবেই ব্যবহার করা শুরু করেন ("ব্লগ করা", মানে দাঁড়ায় "কারোর ওয়েবলগ সম্পাদনা করা বা কারোর ওয়েবলগে লেখা দেওয়া") এবং পাইরা ল্যাবের ব্লগার পণ্যের সাথে সম্পর্ক রেখে "ব্লগার" শব্দটা ব্যবহার করেন, জনপ্রিয় করে তোলেন পরিভাষাটি। [৬]

উৎসকথা

ব্লগিং জনপ্রিয় হওয়ার আগে, ডিজিটাল গোষ্ঠীগুলোর নানান ধরন ছিলো, ছিলো ইউজনেট (Usenet), ছিলো জিনি(GEnie), বিক্স (BiX)-এর মতো বাণিজ্যিক অনলাইন সার্ভিস, আরো ছিলো পুরনো আমলের কম্পুসার্ভ (CompuServe), ই-মেল লিস্টস [৭] আর বুলেটিন বোর্ড সিস্টেমস (বিবিএস)।১৯৯০-এর দিকে, ইন্টারনেট ফোরাম সফটওয়্যার "থ্রেড"-এর মাধ্যমে কথোপকথন চালানোর ব্যবস্থা শুরু করে। থ্রেড হচ্ছে একটা ভার্চুয়াল "কর্কবোর্ড"-এ বার্তাগুলোর মাঝখানের সাময়িক সংযোগের সমষ্টি।
আধুনিক ব্লগের উৎপত্তি ঘটে অনলাইন দিনপত্রী থেকে, যেখানে লোকেরা তাঁদের ব্যক্তিগত জীবনের বিবরণ রাখতেন। এধরনের বেশিরভাগ লোকেরাই নিজেদের বলতেন ডায়েরিস্টস, জার্নালিস্টস অথবা জুমালারস। সোয়ার্থমোর কলেজ-এ ১৯৯৪-এর দিকে পড়ার সময় ব্যক্তিগত ব্লগিং-করিয়ে জাস্টিন হল-কে অন্যতম আদি ব্লগার [৮] হিসেবে ধরা হয়, যেমনটা ধরা হয় জেরি পুমেল-কেও। ডেভ উইনার-এর স্ক্রিপ্টিং নিউজ-এরও সবচাইতে পুরনো আর সবচাইতে বেশি দিন ধরে চালু থাকা ওয়েবলগ হিসেবে খ্যাতি আছে।[৯][১০]
প্রথম দিককার ব্লগগুলো ছিলো স্রেফ সাধারণ ওয়েবসাইটের হাতে-বানানো উন্নততর উপকরণ। তবে, সময়ের সাথে বিপরীতক্রমে পোস্ট-করা ওয়েব প্রবন্ধগুলো লেখা এবং দেখভাল করা সহজ করার জন্যে বিবর্তিত কৌশলগুলোই প্রকাশ ব্যবস্থাটা বড়সড় একটা জনগোষ্ঠীর কাছে, যারা তেমন প্রযুক্তিদক্ষ নয়, বেশ সহজে ব্যবহারযোগ্য করে তোলে। এতে করেই শেষমেষ আলাদা ধরনের একটা অনলাইন প্রকাশনা ব্যবস্থা গড়ে ওঠে যেটা আজকাল আমাদের চেনা চেহারার যেরকম ব্লগ সেরকমটা তৈরি করে। উদাহরণস্বরূপ, কিছু কিছু ব্রাউজার-নির্ভর সফটওয়্যারের ব্যবহার এখন ব্লগের একটা নিতান্তুই সাধারণ ব্যাপার। ব্লগ হোস্ট করার জন্যে আছে নির্ধারিত ব্লগ হোস্টিং সার্ভিস, এছাড়াও ওগুলো ব্লগ সফটওয়্যার কিংবা নিয়মিত ওয়েব হোস্টিং সার্ভিস ব্যবহার করেও চালানো যায়।
কিছু আদ্যিকালের ব্লগার, যেমন দ্য মিস্যানথ্রোপিক বিচ ১৯৯৭ সালের দিকে যখন ব্লগিং শুরু করে, তারা নিজেদের অনলাইন উপস্থিতির নাম দিয়েছিলো জাইন (zine)। তখনো "ব্লগ" নামের পারিভাষিক শব্দটা আজকালকার সাধারণ ব্যবহারের পর্যায়ে আসে নি।

ব্লগিং প্লাটফর্ম

যে সমস্ত ওয়েবসাইট এবং ব্লগিং এপ্লিকেশনের মাধ্যমে একটি ব্লগ তৈরি করা যায়, এগুলোকে ব্লগিং প্লাটফর্ম বলা হয়। বর্তমানে কিছু জনপ্রিয় ব্লগিং প্লাটফর্মের মধ্যে গুগলের ব্লগার, ওয়ার্ডপ্রেস, টেকনোরাতি, ব্লগ ডট কম, হোপব্লগ ইত্যাদি অন্যতম।

জনপ্রিয়তা বৃদ্ধি

শুরুটা ধীরগতির হলেও, ব্লগিং দ্রুতই জনপ্রিয়তা পায়। ১৯৯৯ সাল এবং তার পর থেকেই ব্লগ ব্যবহার বাড়তেই থাকে। প্রথম দিককার কিছু ব্লগ হাতিয়ারের প্রায়-সমসাময়িক আবির্ভাব ব্যবহারটা আরো লোকপ্রিয় করে:
• ১৯৯৮ সালে ব্রুস আবেলসন ওপেন ডায়রি নামান, এতে করে হাজারো অনলাইন দিনপত্রী জন্ম নেয়। ওপেন ডায়রির আবিষ্কার হচ্ছে পাঠক মন্তব্য, এটাই ছিলো প্রথম ব্লগ কমিউনিটি যেখানে পাঠকেরা অন্য লেখকের ব্লগ অন্তর্ভুক্তিতে মন্তব্য করতে পারতেন।
• ১৯৯৯-এর মার্চে ব্র্যাড ফিটজপ্যাট্রিক শুরু করেন লাইভ জার্নাল
• জুলাই, ১৯৯৯-এ এন্ড্রু স্মেলস কোন ওয়েবসাইটে একটা "খবর পাতা" রাখার বিকল্প হিসেবে জন্ম দেন পিটাস.কম-এর, এর পরপরই সেপ্টেম্বর, ১৯৯৯-এ আসে ডায়েরিল্যান্ড, যেখানে ব্যক্তিগত দিনপত্রীমূলক কমিউনিটির ওপর জোর দেওয়া হয়। [১১] ইভান উইলিয়ামস এবং মেগ হুরিহান (পাইরা ল্যাবস) ব্লগার.কম চালু করেন অগস্ট, ১৯৯৯-এ। (গুগল এটা কিনে নেয় ২০০৩-এর ফেব্রুয়ারিতে)।



 

Saturday, September 19, 2015

টেকটিউনস এর মতো টেম্পলেট একদম ফ্রি

বেশি কিছু লিখলাম না তাড়াতাড়ি লুফে নিন আর না হলে মিস করবেন  । একদম হুবহু টেকটিউনস এর মতো  টেম্পলেট
           তাহলে এখানে ক্লিক করুন একদম  টেকটিউনম এর মত ‍।


Friday, September 18, 2015

জেনে নিন অনলাইনে আয় করার দশ উপায়।

তুমি কি বাংলাদেশে থাকো? তুমি কি অনলাইনে আয় রোজগারের সঠিক উপায় খুঁজছ? তাহলে আমার এই নিবন্ধটি পড়ো। এটি তোমার জন্য একটা সহায়ক হিসেবে কাজ করবে। কারণ, অনলাইনে যে কিভাবে ঘরে বসে অনেকভাবে অর্থ উপার্জন করা যায়, তা এই নিবন্ধ পড়লে তুমি জানতে পারবে। আমি তোমাকে বলে রাখতে চাই যে, অনলাইনে আয় করা বাস্তব জীবনে আয় করার মতোই কঠিন। এখানে এমন কিছু রাস্তা আছে যেগুলোতে কাজ শুরু করা সহজ। কিন্তু এগুলো থেকে বেশি টাকা আয় করা যায় না। এর তুলনায় অন্যান্য উপার্জনের পন্থায় ভালো আয়ও হয় আবার তা ধারাবাহিকভাবেও বজায় থাকে। বাংলাদেশ থেকে অনলাইন আয় রোজগারের উপায়গুলো নিম্নে উপস্থাপন করলাম। আশা করি তোমাদের ভাল লাগবে।

১। প্যাড রিভিউ-এর মাধ্যমে আয় রোজগার:
সার্ভে বা জরিপ একটা পুরাতন পদ্ধতি আর আমার মনে হয় তুমি এ বিষয়ে জানো। “সার্ভে” সাইটে তুমি গিয়ে নিবন্ধিত হবে আর সার্ভে বা জরিপ আসার অপেক্ষা করবে; সার্ভে ফর্ম পূরণ করে তোমার মতামত জানাবে, ব্যস! প্রতিটি সার্ভের জন্যে তুমি টাকা পাবে। এখানে, এমন কিছু ব্যবস্থাও আছে যেখানে, ইমেইল পড়ার ও জবাব দেওয়ারও কাজ থাকে। সার্ভে সাইট হিসেবে অন্যতম জনপ্রিয় সাইট হচ্ছে-সার্ভে সেভী।

২। নিবন্ধ লিখে আয় রোজগার
এমন অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যেগুলো পাঠকদের লেখায় আপডেট হতে থাকে। কোন কোন সাইটে তারা লেখকদের সাথে মুনাফা ভাগ করে নেয়। তুমি এখানে বিভিন্ন নিবন্ধ লিখতে পারো আর তোমার আর্টিকেল বা নিবন্ধ যতো বেশি পাঠক পড়বে, তুমি ততো বেশি টাকা পাবে। “শুভং” নামক একটা ওয়েবসাইট আছে যারা তাদের লেখকদের সাথে শতকরা ১০ ভাগ গুগল এডসেন্স-এর লভ্যাংশও ভাগ করে নেয়।

৩। পিটিসি বা প্যাড-টু-ক্লিক এ আয় রোজগার
পিটিসি বা প্যাড-টু-ক্লিক এর সাহায্যে তুমি ওয়েবসাইট(শুধুমাত্র স্পনসরড্ সাইটগুলো‌)ব্রাউজ করার জন্যে টাকা পাবে। এতে আরো উপায় আছে যাতে ওয়েবসাইট সার্ফ করে, ওয়েবসাইট দেখে আর ওয়েবসাইট সার্চ করে টাকা উপার্জন। সত্যকথা বলতে কি, এই সাইটগুলো আয়ের তুলনায় অনেক বেশী সময় অপচয় করে। এরা তোমার একেক ইউনিট এডের পেছনে তোমার ব্যয়ের তুলনায় খুবই কম টাকা দেয়। একটা জনপ্রিয় পিটিসি সাইট যারা ভালো অর্থ প্রদানও করে থাকে সেটি হচ্ছে- বাক্স টু।

৪। তোমার তোলা ছবির মাধ্যমে অর্থ উপার্জন
যদি তুমি একজন ফটোগ্রাফার বা চিত্রগ্রাহক হয়ে থাকো, তবে তোমার তোলা আকর্ষণীয় ছবিগুলো অনলাইনে বিক্রি করতে পারো। অনলাইনের ডিজাইনাররা তাদের প্রজেক্টের জন্যে অনেক ছবি খুঁজে থাকেন, তুমি তাদের নিকট তোমার ছবিগুলো বিক্রি করতে পারো। তুমি তোমার ছবিগুলো আই-স্টক-ফটোস্‌ ওয়েবসাইটের মাধ্যমে বিক্রিও করতে পারো।

৫। গুগল এডসেন্সের মাধ্যমে আয় রোজগার
গুগল এডসেন্সে আয় করার জন্যে তোমার একটা সচল ওয়েবসাইট অথবা ব্লগ প্রয়োজন। তুমি নিশ্চয়ই দেখেছো এমন বিলবোর্ড বা টিউনার যেখানে তারা(জনৈক অসাধু ব্যবসায়ীরা) দাবি করে যে, তুমি এখান ১০ থেকে ২০ ডলার দৈনিক আয় করতে পারবে- এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা কথা! গুগল এডসেন্স থেকে ইনকাম হয় তখন যখন, কেউ গুগলের সেসব এডে ক্লিক করে। কিন্তু, এখানে ইনকাম করার পূর্বে তোমাকে একটা তথ্যসমৃদ্ধ ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে। কিন্তু, তোমাকে সেসব নকল এডসেন্স শেখার জায়গায় এই শেখানো হয় যে, কিভাবে চুরির লেখা দিয়ে একটা নকল ওয়েবসাইট বানাতে হয়, এটাতো আসল নয় কারণ এটা একটা ধোঁকাবাজি।

৬। তোমার মতামত প্রকাশের জন্যে টাকা পাবে
হ্যাঁ, এটিই নতুন দিনের আয় রোজগার মাধ্যম, এখন তুমি টাকা নিয়ে যেকোন ওয়েবসাইট বা কোম্পানির ব্যাপারে তোমার মতামত দিয়ে একটা নিবন্ধ লিখে ফেলো তোমার ব্লগে। প্যাড রিভিউ সাইটগুলো কল্যাণে, এখন তারা(কোম্পানি বা ওয়েবসাইটগুলো) তোমাকে তাদের ব্র্যান্ড, পণ্য বা ওয়েবসাইটের বিষয়ে লেখার জন্যে অর্থ পরিশোধ করবে। তোমার এই মতামত বা ব্লগ তাদের নিয়ে বাজারে আলোড়ন সৃষ্টি করবে আর তারা পাবে অধিক পাঠক ও ক্রেতা। এরকম একটা জনপ্রিয় প্যাড রিভিউ সাইট হচ্ছে-সোস্যাল সম্পর্ক।

৭। এফাইলিয়েট মার্কেটিং-এর মাধ্যমে আয় রোজগার(সেবামূলক গোষ্ঠীর সাহায্য করা)
এটি একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে তুমি তোমার ওয়েবসাইটে কোন পণ্যের প্রচার করবে আর যখন পণ্য বিক্রি হবে, তখন তুমি এর থেকে কমিশন পাবে। এখানে অনেক আধুনিক আর ভালো পণ্য আছে যেগুলো বিক্রি করা যায় আর মানুষ কিনতেও আগ্রহী; তুমি একজন এফাইলিয়েট হয়েও কাজ করতে পারো। তুমি “ক্লিক ব্যাংক”-এর মাধ্যমে একজন এফাইলিয়েট হয়ে পণ্য বিক্রয় করতে পারো।

৮। ব্যানার এডস্‌ বা “ব্যানার” জাতীয় বিজ্ঞাপন বিক্রি করে আয় রোজগার
যদি তোমার একটা প্রতিষ্ঠিত ওয়েবসাইট বা ব্লগ থাকে, তবে বিজ্ঞাপনদাতারা তোমার ব্লগে তাদের বিজ্ঞাপন দিতে দ্বিধাবোধ করবে না। একেই বলে, ব্যানার এডস্‌ অথবা সরাসরি ইনকামের সুযোগ। তোমার ওয়েবসাইটের জনপ্রিয়তা যতো বেশি হবে তোমার পাঠক সংখ্যা বাড়বে ততো বেশি হবে আর তোমার আয়ও বাড়তে থাকবে।

৯। ফ্রি-লেন্সিং বা অস্থায়ী কর্মী হিসেবে অর্থ উপার্জন
ঘরে বসে ফ্রি-লেন্সিং করা আয় রোজগারের একটা চমৎকার সুযোগ। তোমার যদি ডাটা এন্ট্রি, গ্রাফিক্স ডিজাইন অথবা এডমিনিস্ট্রেশন বা তদারকির কাজে দক্ষতা থাকে তাহলে, তুমি অনলাইনে এসব কাজ করে আয় রোজগার করতে পারো। তুমি চাইলে ফ্রিলেন্সিংভিত্তিক একটা ক্যারিয়ারই গড়ে তুলতে পারো।

১০। টুইটার বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে আয় করা
বিজ্ঞাপনদাতাগণ বর্তমানে তাদের ক্যাম্পেইন বা বিজ্ঞাপন উদ্যোগগুলো “টুইটার” বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ছড়িয়ে দিতে চাচ্ছেন। এজন্যে, তোমার কোন ব্লগ কিংবা ওয়েবসাইট থাকারও প্রয়োজন নেই। এমন অনেক কোম্পানি রয়েছে, যারা টুইটার বিজ্ঞাপনের কাজ করে থাকে যেমন- মেগ-এ-পাই।

অনলাইনে আয়ের টাকা বাংলাদেশে কিভাবে পাবে?
১. চেকে টাকা পাওয়া
এটা একটা ব্যাংকের চেক যেটি তুমি যেকোন ব্যাংক থেকেই উত্তোলন করতে পারবে। এডসেন্স ও অন্যন্য সাইট এরকম চেকে টাকা পাঠিয়ে থাকে। এটা বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর সবচেয়ে সাধারণ ও জনপ্রিয় মাধ্যম।

২. পেপ্যাল-এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া
পেপ্যাল টাকা পাওয়ার একটি জনপ্রিয় মাধ্যম, যেটি তোমাকে অনলাইনে টাকা পেতে সাহায্য করবে। অবশ্য, এখনও পেপ্যাল বাংলাদেশে আসেনি কিন্তু শীঘ্রই আসবে।

৩. পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট মাস্টারকার্ড
এটা বাংলাদেশে অনলাইনের টাকা পাওয়ার জন্যে নতুন একটা রাস্তা। তুমি ওডেস্ক থেকে মাস্টারকার্ড পেয়ে সেই কার্ড থেকে টাকা উঠাতে পারো। পড়ে নাও-বাংলাদেশে ওডেস্ক পেওনিয়ার প্রিপেইড ডেবিট কার্ডের মাধ্যমে অর্থ প্রাপ্তি।

৪. মানিবুকারস্‌ থেকে টাকা প্রাপ্তি
মানিবুকারস অনেকটা পেপ্যালের মতোই। আর এটা তোমার ব্যাংক একাউন্টের মতনও। বাংলাদেশে এটা প্রচলিত আছে।

৫. এলার্টপে
এর মাধ্যমে টাকা পাওয়া। এটিও পেপ্যালের মতোই আর বাংলাদেশে প্রচলিত আছে। তুমি এর টাকা ওয়েস্টার্ন ইউনিয়ন থেকে উঠাতে পারো।

৬. ই-গোল্ড ব্যবহার টাকা প্রাপ্তি
পেপ্যালের মতোই ই-গোল্ড।

আমি অনলাইনে কত টাকা আয় করতে পারবো?
এটা তোমার পরিশ্রম, দক্ষতা আর পদ্ধতির উপর নির্ভর করবে, তুমি চাইলে ৫০০০ থেকে ১০,০০০ টাকা প্রতি মাসে আয় করতে পারবে। আয় সম্পূর্ণ নির্ভর করে তোমার বিশ্বস্ততা ও পরিশ্রমের উপর। এখন, তুমি চাইলে ১৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টাকা বা উপরে ৫০,০০০ প্রতি মাসে উপার্জন করতে পারো। আমার একটা পরামর্শ নিতে পারো, এখানে সত্যিই অনেক টাকা বানানো যায় আর এটা কোন ফাজলামো নয়, তুমি যাই করো গম্ভীর হয়ে করবে আর কঠোর পরিশ্রম করবে। কখনো চুরি, ধোঁকাবাজি করবে না আর তোমার কাজের প্রতি সৎ থাকার চেষ্টা করবে।

ফ্রিলেন্সিং থেকে যেভাবে ভালো আয় করবেন ।

আপনার যদি কোন কাজের স্কিল থেকে থাকে তাহলে ফ্রীল্যান্সিং করে আপনি প্রচুর অর্থ আয় করতে পারবেন। তবে ফ্রীল্যান্সিং সোনার হরিণেরর সঠিক প্রয়োগ না করতে জানলে আপনার অর্থ প্রাপ্তি অধরাই থেকে যাবে। ফ্রীল্যান্সিং করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কিছু বিশেষ দিক খেয়াল রাখতে হবে। অনেকেই আছেন যারা ফ্রীল্যান্সিং করতে চাচ্ছেন বা করছেন কিন্তু আশা-অনুরুপ ফল পাচ্ছেন না। তাঁদের জন্য ফ্রীল্যান্স হেল্পলাইনে আজকে কিছু টিপস দেয়া হল।

আপনি যদি ফ্রীল্যান্সিং করে অর্থ আয় করতে চান তাহলে আপনাকে যা যা করতে হবেঃ

  • প্রচুর প্রোজেক্টে বিড করুণঃ আপনি যত বেশী বিড করবেন তত বেশী কাজ পাবার সম্ভাবনা বেড়ে যাবে। এটা ঠিক আপনি এক সাথে সব কাজ করতে পারবেন না তবে আপনি এ ক্ষেত্রে ওই সব কাজ আগে করবেন যে সব কাজে টাকা বেশী। আপনি যদি সঠিক ও বেশী দামের কাজ না পান তাহলে আপনার বিড করা চালিয়ে যান। এভাবে চালিয়ে গেলে আপনার কাজ পাবার সম্ভাবনাও বাড়বে সাথে ভালো মূল্যের কাজও বেছে নিতে পারবেন।
  • প্রোফাইলে আপনার জানা কাজের স্কিল সংযুক্ত করুণঃ ফ্রীল্যান্সিং জগতে কাজ করা যথেষ্ট প্রতিযোগিতা মূলক। এখানে ক্লায়েন্ট চায় ভালো স্কিলের এমপ্লয়ী। যার স্কিল যত ভালো তাঁর কাজ পাবার সম্ভাবনাও ততো বেশী। সুতরাং আপনার স্কিল বাড়ান। (যদি আপনার কাজ জানা থাকে না জানলে সংশ্লিষ্ট কাজ শিখে নিতে পারেন।)
  • ফ্রীল্যান্সিং এর জন্য বেশী বেশী সময় রাখুনঃ আপনি বেশী টাকা আয় করতে চাইলে অবশ্যই আপনাকে বেশী সময় ব্যায় করতে হবে। আপনি যদি দৈনিক ৫ ঘন্টা ফ্রীল্যান্সিং করতে রাখেন একবার ভেবে দেখুন অন্য আরেকজন ১০ ঘন্টা ব্যায় করে আপনার থেকে স্বাভাবিকভাবে বেশী অর্থ আয় করবে। তাই আপনার আয় সর্বচ্চো করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সময় দিতেই হবে।
  • ক্লায়েন্টের সাথে সম্পর্ক সাবধানতার সাথে বজায় রাখুনঃ ক্লায়েন্টের সাথে সু-সম্পর্ক ফ্রীল্যান্সিং এ অর্থ আয়ের সম্ভাবনা বহুগুন বাড়িয়ে দেয়। কারণ আপনি যদি আপনার ক্লায়েন্টের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখে ঠিক ঠাক ভাবে কাজ করে যান তাহলে ওই ক্লায়েন্ট তাঁর পরবর্তী কাজের জন্য আপনাকে অফার করবে এ ক্ষেত্রে বিড করে কাজ পেতে হচ্ছেনা আপনাকে কাজ আপনার হাতের কাছেই থাকছে।
  • একটি গ্রুপ বা দল তৈরি করুণঃ এটা এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে আপনি আপনার ফ্রীল্যান্সিং কাজ থেকে অর্থ আয় অনেক বেশী করতে পারেন। এ পদ্ধতিতে আপনি আপনার ক্লায়েন্ট থেকে কাজ নিয়ে আপনার দলের সবার মাঝে ভাগ করে দিতে পারেন, কাজ শেষে কাজটি আপনার ক্লায়েন্টকে বুঝিয়ে দিতে পারেন। এতে আপনার সময় ও কাজ বেশী করার সম্ভাবনা বেড়ে গেলো।

আপনি কি ফ্রিল্যানসিং করার স্বপ্ন দেখেন?


আপনি যদি ফ্রিল্যান্সিং করার স্বপ্ন দেখে থাকেন (ঘুমে নয় বাস্তবে) তাহলে এই টিউনটি  আপনার জন্য। টিউনটি পড়ার পর আপনি বুঝতে পারবেন ফ্রিল্যান্সিং আপনার জন্য সুট করবে কি করবেনা। যদি সুট করে তাহলে টিউনটি ফলো করে এগিয়ে যান আর নয়তো এখানেই থেমে যান। স্বপ্ন দেখা বন্ধ করে অন্য কাজে মনোযোগ দিন।
আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং কি?
এমন কাজ যা কিছু ব্যক্তির দ্বারা সম্পন্ন করা হয় যারা একাডেমিক মৌলিক জ্ঞান অর্জন করার পর টেকনোলজিতে কোন একটি নির্দিষ্ট বিষয়ে বিশেষভাবে দক্ষ হওয়ার পর ঘরে বা ইচ্ছেমত পৃথিবীর যেকোন জায়গাতে বসে কম্পিউটার ও ইন্টারনেট সংযোগের মাধ্যমে অন্য কোন ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের কাজ করে দিয়ে অর্থ আয় করার প্রক্রিয়াই আউটসোর্সিং বা ফ্রিল্যান্সিং। সহজভাবে, ঘরে বসে অন্যের কাজ করে দিয়ে অর্থ উপার্জন করার প্রক্রিয়াই ফ্রিল্যান্সিং।
আপনার কি কি যোগ্যতা লাগবে ফ্রিল্যান্সিং করতে
মিডিয়াম লেভেলের ইংরেজি জানতে হবে, মিনিমাম ইংরেজি আর্টিকেল পড়ে বুঝার এবং নিজ থেকে কিছু বলার বা লিখার ক্ষমতা রাখতে হবে, না হয় কঠোর সাধনা করে অর্জন করতে হবে।
কম্পিউটার ও টেকনোলজি সম্পর্কে প্রাথমিক জ্ঞান থাকতে হবে। যেমন: অপারেটিং সিস্টেমস, পিসি সেট-আপ, ট্রাবলশুটিং, সফটওয়্যার ইন্সটেলেসান, মাইক্রোসপ্ট অফিস, ইন্টারনেট ইত্যাদি।
নির্দিষ্ট কোন একটি প্রোগ্রামে দক্ষ হতে হবে। সেটা হতে পারে ওয়েব ডেভলপমেন্ট, ওয়েব ডিজাইন, গ্রাফিক্স ডিজাইন, প্রোগ্রামিং, এস.ই.ও, আর্টিকেল রাইর্টি, থ্রীডি এনিমেশন বা অন্য কোন মার্কেট ডিমান্ডেবল প্রোগ্রাম।
ধৈর্য্যের উপর ধৈর্য্য থাকতে হবে। কাজ শিখার জন্য সঠিকভাবে এগিয়ে গেলে সময় লাগবে মিনিমাম এক বছর। কাজে প্রফেশনালিজম আসতে ও কাজ করে হ্যান্ডসাম আয় করতে আরো এক বছর ধৈর্য্য ধারণ করতে হবে। এটা মনে রাখবেন সফল কেউ এক বছরেও হতে পারে কেউবা ৫ বছরে। এটা চাকুরী বলেন, ব্যবসা বলেন বা প্রবাস, সবক্ষেত্রেই প্রযোজ্য।
উপরের চারটি যোগ্যতা যদি আপনার থাকে তাহলে আপনার স্বপ্ন বাস্তব হওয়া সময়ের ব্যাপার মাত্র। আমার পরবর্তী লিখা ফলো করুন আর স্বপ্ন পূরণের পথে এগিয়ে যেতে থাকেন। আর যদি যোগ্যতাগুলো না থাকে তাহলে প্রথমে এগুলো অর্জন করুন তারপর স্বপ্ন দেখুন। আর যদি অর্জন করতে না পারেন বা পারবেন না বলে মনে হয় তাহলে অন্য কাজ দেখুন। আপনাকে দিয়ে আর যাই হোক ফ্রিল্যান্সিং হবে না। এখানে আপনার জন্য ব্যর্থতা ছাড়া আর কিছুই নেই।
যদি উপরের গুণাবলিগুলো আপনার থাকে তাহলে... সংগ্রহ করুন...
একটা কম্পিউটার ইন্টারনেট সংযোগসহ (মিনিমাম ডুয়েল কোর, কোর আই থ্রী বা তার উপরে হলে ভাল হয়)।
নিরিবিলি প্রাইভেট রোম (যেখানে ২৪ ঘন্টা কাজ করা যায়, কেউ ডিস্টার্ব করবে না এমন)।
কিছু টাকা যাতে মিনিমাম ছয় মাস চলা যায় কোন টেনশন ছাড়া।
যে সব সাইটে সাইন আপ করতে হবে...
upwork.com
envato.com
অন্যান্য
এ ছাড়া আরো অনেক সাইট আছে যেগুলিতে সাইন আপ করে কাজের জন্য বিড় করা যায় বা নিজের দক্ষতাকে বিক্রি করা যায় তবে আমি যেগুলো নিয়ে কাজ করিনা বা ভালভাবে জানিনা সেগুলো নিয়ে কিছু বলব না।
upwork:
প্রথমে সাইন-আপ করে নিন। সবকিছু দিয়ে প্রোফাইল ১০০% করুন। সবকিছু সঠিক তথ্য দিন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি আপনি যে কাজে দক্ষ সে কাজে দক্ষ এমন কারো প্রোফাইল দেখে নিজেরটা নিজে তৈরি করুন। কোনভাবেই কপি পেষ্ট করবেন না। পরীক্ষা দিয়ে নিজের দক্ষতা প্রমাণ করুন। নিজের তৈরি করা সেম্পল কাজগুলো পোর্টপোলিও হিসেবে যোগ করুন। এখন আস্তে আস্তে কাজে বিড করুন। কাজের বর্ণনা পড়ে যে কাজটা আপনি পারবেন বলে মনে হয় কেবলমাত্র সেটাতেই বিড করুন।

কিভাবে আপনার পেইজা একাউন্টে ফান্ড অ্যাড কিংবা ডিপোজিত করবেন? সাথে একাধিক পদ্ধতির কৌশল!!

কিভাবে অ্যাড ফান্ড যোগ করবেন পেইজাতে? হ্যা বিশেষ প্রয়োজনে আমাদেরকে পেইজা একাউন্টে ফান্ড অ্যাড কিংবা ডিপোজিত করার প্রয়োজন হতে পারে। বিশেষত যারা অনেকেই অনলাইনের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং গেটওয়ে পেমেন্ট হিসাবে পেইজা সাপোর্ট করে সেই ক্ষেত্রে পেইজা একাউন্ট আপনার সহায়ক এবং ফান্ড যোগ করার প্রয়োজন হতে পারে।

কিভাবে পোইজাতে ফান্ড অ্যাড কিংবা অর্থ ডিপোজিত করবেন?

১। প্রথমে আপনার পেইজা একাউন্ট লগইন করুন > Add Funds অংশে যান। উল্লেখ্য এখানে প্রায় ৪ টি পদ্ধতিতে ফান্ড অ্যাড করা যাবে এবং ক্ষেত্র বিশেষ ফি প্রদান করতে হবে। তবে সহজ হিসাবে মনে করি, পেইজা একাউন্টে আপনার ব্যাংক একউন্ট অ্যাড ও ভেরিফাই করা আছে সেই হিসাবে আপনার ব্যাংক একাউন্ট হইতে সরাসরি পেইজাতে অর্থ ডিপোজিত করতে পারবেন।
২। সুতরাং Bank Account নির্বাচন করুন > নিম্নরুপ একটি চিত্র আসবে সেখানে আপনাকে টাকার সংখ্যা লিখে নেক্সট বাটনে ক্লিক করলেই ফান্ড অ্যাড হবার প্রসেস শুরু হবে। এবং ইমেইলে বার্তা পাইবেন।

 জ্ঞাতব্য বিষয়ঃ

ক। ব্যাংক একাউন্ট হইতে ফান্ড যোগ করতে সর্বনিম্ন ৫০০/৳ ডিপোজিত করতে হবে তার নিচে নই।
খ। ব্যাংক একাউন্ট হইতে ট্রান্সজেকশন এর সময় ১-২ দিন লাগতে পারে অপরদিকে পেইজাতে ফুল প্রসেস হইতে ৩-১৫ দিন সময় লাগে।
গ। ক্ষেত্র বিশেষ ব্যাংক চার্জ কাটা হতে পারে বিভিন্ন ব্যাংকের চার্জ ফি ভিন্ন রকম। যেমন ৩%-৫%। তবে আমার ইসলামি ব্যাংকের একাউন্ট অ্যাড করা আছে, ডিপোজিত করেছি পরীক্ষামূলক ভাবে ৫০০৳। কিন্তু কোন চার্জ কাটেনি!!
ঘ। ব্যাংক একাউন্ট হইতে ফান্ড যোগ করতে হলে পূর্ব হতেই আপনার পেইজা একাউন্টে ব্যাংক একাউন্ট যোগ থাকতে হবে এবং ভেরিফাই একাউন্ট হতে হবে।
ঙ। ব্যাংক একাউন্ট হইতে ফান্ড যোগ করলে তা বাংলাদেশী কারেন্সীতে যোগ হবে। তবে পরবর্তীতে তা অন্য মুদ্রাতে কনভার্ট করা যাবে (তবে এই সুবিধাটি পেইজা অচিরেই যোগ করবে)

কাজের প্রমাণাদি হিসাবে আমার কিছু চিত্র

ক। ইমেইলে বার্তা-
খ। লেনদেনের সামারি-

 ফান্ড অ্যাড করার আরো কিছু মাধ্যম

উপরের পদ্ধতি প্রয়োগ করলাম যাদের নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট আছে। তথাপি অন্য কোথাও ধরনা দেবার প্রয়োজন না পড়ে। এবং ব্যাংক একাউন্ট হইতে লেনদেন করলে ট্রানজেকশন কপি দেখে বুঝা যাবে কোথা হইতে, কোন তারিখে, কোন টাকার লেনদেন করেছেন।
ফান্ড সংযুক্ত করবার আরেকটি পদ্ধতি হল Over the Bank Counter। এটা শুধুমাত্র পেইজা অনুমোদিত বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের অনুমোদিত শাখা গুলোতে করতে পারবেন, তাও আবার ঢাকাতে। এখানে প্রায় ২/১ ঘন্টার মধ্যই আপনার পেইজাতে ফান্ড যোগ হয়ে যাবে এবং যে কোন কারেন্সীতে ফান্ড যোগ করতে পারবনে। সাথে আপনার ভোটার আইডি, পেইজা এড্রেস, এবং গোপনীয় পিন সম্বর তাদেরকে প্রদান করতে হবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই কাজটি কতটা ঝামেলার এবং সবার পক্ষে ঢাকা যাওয়া সম্ভব নই।
আরো বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেমনঃ কোন ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ফান্ড যোগ করা। অবশ্য সেটি তাৎক্ষনিকভাবে যোগ হবে এবং ৭% ফি প্রদান করতে হবে।

এক্সজেঞ্চার লেনদেন পদ্ধতি

এবং হ্যা কোন এক্সজেঞ্চার যদি লেনদেন করেন সেখানেও ফান্ড অ্যাড করার সুবিধা পাবেন। এক্সজেঞ্চার বলতে কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তি বুঝানো হচ্ছে। যেমনঃ আমার পেইজা একাউন্টে যথেষ্ট পরিমাণ ফান্ড আছে এবং প্রয়োজনের তাগিদে অন্য কোন পেইজা একাউন্টে কিংবা ঠিকানাতে ট্রান্সফার/লেনদেন করি তাহলে সেটাই হবে এক্সজেঞ্চার ট্রানজেকশন। এখানে এক একাউন্ট হইতে অন্য একাউন্টে ফান্ড যোগ হইতে সময় নেয় মাত্র ৩০-৬০ মিনিট। ক্ষেত্র বিশেষ ১ মিনিটের মধ্যও ফান্ড অ্যড হতে পারে। পেইজা টামর্স অনুযায়ী কোন ফি নাই।
তবে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান যদি কমিশন চায় সেটি ভিন্ন কথা!! আরেকটি ব্যাপার যার সাথে লেনদেন করবেন একটু বুঝে শুনে করাটাই শ্রেয়! কারন, এই ক্ষেত্রে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের প্রতারনার বিষয়টাও নতুন কিছু নই।

সারকথা

পেইজাতে ফান্ড যোগ করার বিষয়ে আর তেমন কোন তথ্যাদি নাই। যা জানার বিষয় ছিল সেটা জানিয়ে দিলাম। আশা করি টিউটোরিয়ালটি অনুসরন করে অনেকেই পেইজাতে ফান্ড একাউন্ট যোগ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে বিশেষ কাজে লাগাতে পারবেন। তারপরেও কোন তথ্যাদি জানার থাকলে টিউমেন্ট করার আহবাণ রাখছি।
 

ব্লগ থেকে কিভাবে গুগল এডসেন্সে এপ্লাই করবেন ?

একসময় খুব সহজে পাওয়া  যেত গুগল  এডসেন্সে একটি একাউন্ট ।  কিন্তু এখন আর খুব সহজে পাওয়া যায়না,  গুগল এডসেন্সে একাউন্ট পেতে আপনাকে  আপনার ওয়েবসাইট সয়ংসম্পূর্ণ করতে হবে  আপনার ওয়েবসাইট এ কমপক্ষে ৫টি মেনু থাকতে হবে এবং প্রত্যেকটি মেনুতে নুন্যতম ৭/৮টি আর্টিকেল থাকতে হবে । আর আপনি যদি ব্লগস্পট থেকে এডসেন্সে একটি একাউন্ট পেতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে অবশ্যই ব্লগ এর ভিতর থেকে গুগল এডসেন্সে এপ্লাই করতে হবে ।   কিভাবে করবেন তা নিচে দেখানো হলো ।  পোস্টটি  ভালো  লাগলে আমার  ব্লগ অথবা ফেসবুক পেজ  এ মন্তব্য দিন  । প্রথমে আপনার ব্লগ এ সাইন ইন করুন  তারপর আপনার  ব্লগ এর Go to post list আইকন এ ক্লিক করুন  ।
Earning অপশন সিলেক্ট করুন
Switch  Adsense Account  এ ক্লিক করুন
Create a new Adsense Account tab এ Create account এ ক্লিক করুন
Create an adsense account এ Account type : Individual  সিলেক্ট করুন  এবং  Country or territory : Bangladesh সিলেক্ট করুন
তারপর Contact Information দিন,  এখানে Payee name এ আপনার নাম দিন, আর তা যেন অবশ্যই  Bank Account এর সাথে মিল থাকে ।  Bank Account না থাকলে আপনার রিয়াল নাম দিন, ওই নামে পরে Bank Account একাউন্ট করে নিবেন । আর আপনার ঠিকানা অবশ্যই আসল ঠিকানা দিবেন । কেননা গুগল আপনার ওই ঠিকানায় চিঠি পাঠাবে এবং আপনাকে ভেরিফাই করবে ।
সর্বশেষে আপনার মোবাইল নাম্বার দিন এবং Policies এর সকল অপশন এ টিক দিয়ে Submit  Information এ ক্লিক দিন ।
আপনি চাইলে Continue করার আগে আপনার তথ্য আরেকবার সম্পাদন করতে পারবেন । এজন্য Edit Account Information এ ক্লিক করতে হবে, আর সম্পাদন করতে না চাইলে Continue তে ক্লিক দিন  ।  দু / তিন দিনের মধ্যে একটা মেসেজ পাবেন, তারপর ১ সপ্তাহ কিংবা ১ মাস কিংবা তার কম সময়ের মধ্যে আরেকটি Confirmation Email আসবে, যাতে সকল terms and condition এ I agree দিয়ে submit করলেই কাজ শেষ । ব্যাস হয়ে গেল আপনার গুগল এডসেন্সে একাউন্ট  ।
আপনার  গুগল এডসেন্সে একাউন্ট একটিভ হয়ে গেলে আপনার account এ যখন সাইন ইন করবেন,   Google Adsense একাউন্ট এর Home Page এভাবে দেখতে পাবেন   । এখান থেকে ad নিয়ে আপনার সাইটে  দিবেন, আর আপনার site visit হলে এবং  ad এ ক্লিক পড়লেই আপনার ইনকাম হবে আর তা Google Adsense এর Home Page এ আসলে দেখতে পাবেন  । নির্ধারিত সময় পর  Google আপনাকে চেক পাঠাবে  ।
অনলাইন আর্নিং এর বিভিন্ন দিক নির্দেশনা, Search  Engine Optimization এবং গুগল adsense সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে  আমার  ব্লগ অথবা 
- See more at: http://bdonlineincomes.blogspot.com/2015/09/blog-post.html#sthash.lg9izVg8.dpuf

Sunday, September 13, 2015

ওয়েবসাইট বানাবেন? ডোমেইন এবং ওয়েব হোস্টিং নেবেন কি কি ফিচার দেখে?

ফ্রি ডোমেইন, ফ্রি হোস্টিং এইসব অনেক আলোচনা হয়েছে। কিন্তু যারা ডোমেইন এবং হোস্টিং কিনে ব্যবহার করতে চান, তারা কি কি ফিচার দেখে কিনবেন? আমি আজকে যা লিখতে চলেছি, সেইসব সাধারনত কোনো ওয়েবসাইটে লেখা পাবেন না। একান্তই ব্যবহারিক অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে এই লেখা লিখতে চলেছি, এবং, এর সবটাই আমার নিজস্ব অভিজ্ঞতা নাহলেও অনেক কাছে থেকে দেখা অন্যান্যদের সুবিধা ও অসুবিধা দেখেই এই লেখা। ফ্রি জিনিসের প্রতি মায়া তেমন হবেনা যেমনটা হবে নিজের কষ্টের টাকা দিয়ে কেনা জিনিসের প্রতি। তাই, প্রতিটি টাকার মূল্য যাতে সঠিকভাবে আপনি পান, তা আপনি নিশ্চয় চাইবেন? বিনামূল্যের জিনিস, তার ফিচার পছন্দ নাহলেই তা বদলে ফেলা যাবে, ছেড়ে দেওয়া যাবে, কিন্তু একবার টাকা দিয়ে কেনা মানে সাধারনত সেটা এক বছরের জন্য, মাঝে ছেড়ে দেওয়ার অর্থ নিজের টাকা অপচয় হওয়া।
প্রথমেই আসি ডোমেইনের কথায়। ইন্টারনেটে অনেক নামীদামী ডোমেইন বিক্রেতা আছেন, তাদের কাছে থেকে ক্রেডিট কার্ড দিয়ে কিনবেন? নাকি আপনার স্থানীয় বিক্রেতার কাছে থেকে ক্যাশ টাকা দিয়ে কিনবেন? তফাৎ কি? তফাৎ অবশ্যই আছে! ডোমেইন সিকিউরিটির ক্ষেত্রে এটা কাজে দেবে অনেক। ধরুন আপনার জনপ্রিয় ডোমেইন হ্যাক করে নিলো কেউ এবং সেটা ট্র্যান্সফার করে নিল তার একাউন্টে, সেই ডোমেইন ফেরত পেতে অনেক ঝামেলা হতে পারে যদি সেই ডোমেইন ক্রেডিট কার্ড দিয়ে নিজে কিনে থাকেন। প্রথমেই ডোমেইন রেজিস্ট্রারের সাথে যোগাযোগ করা, তাকে সম্পূর্ণ ব্যাপারটা ইমেইলে জানানো, এর পরে ফোনে সরাসরি কথা বলতে হতে পারে – ISD বিলের কথা মাথায় রাখবেন। এর পরে নিজের আইডেন্টিটি প্রমাণের ব্যাপার আছে। ক্রেডিট কার্ড নিজের নামে নাহয়ে পরিবারের কারো নামে কিম্বা বন্ধুবান্ধবের নামে হলেই কেলেঙ্কারি, তাদেরকে নিয়ে টানাটানি, তারা ভেরিফাই না করলে ডোমেইন ফেরত পাবেন না।
এইসব ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকতে হলে স্থানীয় বিক্রেতার কাছে থেকেই কেনা ভালো। তারাও হয়তো তাদের ক্রেডিট কার্ড দিয়েই কেনে, আপনি যেখান থেকে কিনবেন তারাও হয়তো সেখান থেকেই কেনে, কিন্তু তার পরেও তারা হচ্ছে রিসেলার এজেন্ট, কোম্পানীর সাথে আপনার চেয়ে তাদের আরও কাছের যোগাযোগ, ব্যবসায়িক সম্পর্কের ভিত্তিতে তারা অনেক সহজেই আপনার ডোমেইন আপনাকে ফেরত এনে দিতে পারবে। যেহেতু স্থানীয়, তাই তারা আপনাকে চিনবে, আইডেন্টিটি প্রমাণের প্রশ্ন আসবেনা। তাই, আমি বলবো যে ডোমেইন স্থানীয় বিক্রেতার কাছে থেকেই কেনা ভালো।
এবারে আসছি হোস্টিংয়ের কথায়। স্থানীয় বিক্রেতার কাছে হোস্টিং কেনা অনেক ব্যয়সাধ্য ব্যাপার। তাই, হোস্টিং কিনতে পারেন ক্রেডিট কার্ড দিয়ে, পেপাল দিয়ে ইত্যাদি। কিন্তু কি কি ফিচার আপনার প্রয়োজন? তালিকায় অনেক কিছুই লেখা থাকে, সব কি আপনার দরকার? তালিকায় লেখা প্রচুর ফিচার দেখে মুগ্ধ হয়ে গিয়ে হোস্টিং না কেনাই ভালো। আবার এও ঠিক যে তালিকায় লেখা অনেক ফিচার আপনার অসুবিধার সৃষ্টি করতে পারে ভবিষ্যতে। আসুন জেনে নিই?
আপনি কি একটি ব্যক্তিগত ওয়েবসাইট বানাতে চান? সেক্ষেত্রে তথাকথিত ‘আনলিমিটেড’ হোস্টিং আপনার একেবারেই প্রয়োজন নেই। কম টাকায় পেয়ে গেলেও তাতে কিই বা হোস্টিং করবেন যাতে ‘আনলিমিটেড’ স্পেস লাগতে পারে? কারন আপনি প্রচুর পরিমানে অডিও/ভিডিও আপলোড করতে পারবেন না। সার্ভারে MP3 রেখে দেওয়া যেতে পারে, কিন্তু সেইসব ডাউনলোডের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া কিন্তু বেআইনি। কপিরাইটের ঝামেলা আছে। আপনি গানবাজনার সাথে যুক্ত হলে আপনার নিজস্ব মিউজিক ফাইলগুলি রাখার ক্ষেত্রেও আগে জিজ্ঞেস করে নেবেন, অনেক হোস্টিং বিক্রেতা তাদের terms & conditions’এ লিখেই দেন যে বহু পরিমানে মিডিয়া ফাইল লোড করে রাখা যাবেনা। ব্যক্তিগত কিছু ভিডিও নিশ্চয় রাখতে পারেন, তাও কতোখানি, সেটা জিজ্ঞেস করে নেবেন সাপোর্টে ইমেইল করে।
আপনি কি বানিজ্যিক ওয়েবসাইট কিম্বা ফোরাম কিম্বা গ্রুপ ব্লগিং ওয়েবসাইট বানাতে চান? এক্ষেত্রেও আমি বলবো যে আনলিমিটেড হোস্টিংয়ের প্রয়োজন নেই। Bandwidth সেখানে বেশি জরুরী জিনিস। আমি কয়েকদিন আগে একটি হোস্টিং কোম্পানীর ওয়েবসাইটে দেখছিলাম তারা লিখেছে “storing unusual quantity of media files is not allowed”, এই ‘unusual quantity’ তাহলে কতোখানি? আরেকটি হোস্টিং কোম্পানীর ওয়েবসাইটে পড়লাম যে “MySQL database Unlimited (200MB)” – অবস্থা বুঝতে পারছেন? একদিকে লেখা আনলিমিটেড, কিন্তু ব্র্যাকেটে লেখা ২০০ মেগাবাইট। সাপোর্টে ইমেইল করে জানলাম যে এখানে Unlimited মানে অগনিত সংখ্যায় ডেটাবেস বানাতে পারলেও এক একটির সাইজ যেন 200MB পার না করে! সুতরাং এইসব জেনে নেবেন। ফোরাম কিম্বা গ্রুপ ব্লগিং ওয়েবসাইটে ডেটাবেস সাইজ কিন্তু বাড়বে। আবার Bandwidth বিষয়টিও মাথায় রাখবেন। অনেক কোম্পানীই লেখে আনলিমিটেড। কিন্তু এখানে লেখার মধ্যে সামান্য কারিগরির ব্যাপার আছে।
ঢাকার এক গ্রাহক এই অসুবিধার মধ্যে পড়েছিলো। জটিল এক সমস্যা। তার bandwidth unlimited, কিন্তু নামী এক ওয়েবসাইট তার সাথে লিঙ্ক করার সঙ্গে সঙ্গে তার ওয়েবসাইটে প্রতি মিনিটে প্রায় ১০,০০০ করে পাঠক আসছিল। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই আমি দেখলাম ৬০,০০০ ভিজিটার ছাড়িয়েছে! ব্যাস, এর পরে মাত্র ১০ মিনিটের মধ্যে তার হোস্টিং একাউন্ট সাসপেন্ড হল। কেন? কোম্পানী জানালো যে এতো সংখ্যায় ভিজিটার আসলে সেক্ষেত্রে যেন বিজনেস হোস্টিং নেওয়া হয়, নয়তো ডেডিকেটেড সার্ভার নেওয়া হয়। যে ওয়েবসাইট তার সাথে লিঙ্ক করেছিল তাদের ভিজিটার দিনে প্রায় ১০ লাখের উপরে (ইউনিক + রিটার্নিং মিলিয়ে), একটি পথ দুর্ঘটনার কিছু ছবি, তারা নিজেরা সেইসব ভয়ঙ্কর ছবি প্রকাশ করতে চায়না বলে এই ওয়েবসাইটে লিঙ্ক করে দিয়েছিল, তাই পাঠকরা সেইসব ছবি দেখতেই ভীড় করেছিলো।
ভাবতে পারছেন? একদিন সারাদিন যদি এইভাবে পাঠক আসতো, তাহলে তার পেজ র‌্যাঙ্ক কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়? আর গুগল এডসেন্সে কতো আয় হতে পারতো? কিন্তু সে এই লাভ তুলতেই পারলোনা তার হোস্টিং কোম্পানীর কারনে, নাম জানতে চান সেই হোস্টিং কোম্পানীর? Namecheap.com! বিনা নোটিসেই হোস্টিং সাসপেন্ড করে দিলো তারা। সুতরাং এই অবস্থায় যেন না পড়েন, তাই কেনার আগেই সাপোর্টে এইসব প্রয়োজনীয় কথা বলে নেবেন। ফোরাম কিম্বা গ্রুপ ব্লগিং ওয়েবসাইট বানান, কিম্বা ব্যক্তিগত, আপনি তো জানেন না কালকে কোনো জনপ্রিয় ওয়েবসাইট আপনার সাথে লিঙ্ক করবে কিনা? আপনি তো জানেন না লিঙ্ক নাহলেও এমনিতেই কতো ইউজার আসতে পারে? জেনে নেবেন প্রতি মিনিটে কতো ভিজিটার হোস্টিং কোম্পানী মেনে নেবেন। Shared hosting অবশ্যই সীমা আছে, এর পরে বেশি দাম দিয়ে VPS/VDS কিম্বা Dedicated server কিনতে হতে পারে।
কেন Shared hosting’এ কিছু সীমা বেঁধে দেওয়া আছে? তার কারন শুধু আপনার একলার ওয়েবসাইট তাতে চলেনা, আরও অন্য অনেক গ্রাহকের ওয়েবসাইট চলে সেখানে। তাই কারো যেন অসুবিধা নাহয়, সার্ভার যেন ধীরগতির নাহয়ে যায়, সার্ভার যেন ডাউন না যায় এইসব নিশ্চিত করার লক্ষ্যেই নানারকমের বিধিনিষেধ আরোপ করা থাকে। সার্ভারে যদি এমন কোনো স্ক্রিপ্ট চালাতে চান যেটা অনেক মেমোরি কনজিউম করবে, সেক্ষেত্রেও কিন্তু বিধিনিষেধ আছে।
VPS/VDS কিনলেও যে খুব সুবিধা পেয়ে যাবেন তা নাও হতে পারে। সেটা নির্ভর করবে সেই সার্ভারের RAM, Processor (Single or Dual or Quad processor) ইত্যাদি অনেক কিছুর উপরে। ভারী ধরনের ওয়েবসাইট বানাতে হলে বুঝেশুনে ভালো কনফিগারেশানের ডেডিকেটেড সার্ভার নিতে হবে। সেই সার্ভারের ইন্টারনেট গেটওয়ে কেমন, কোন নেটওয়ার্কের সাথে যুক্ত, সার্ভারের ডেটাসেন্টার কোন দেশে, তার পিং স্পিড কতো, আপটাইম কেমন সেইসব জেনে নেওয়াও জরুরী। একজন দায়িত্ববান ওয়েবমাস্টার হতে গেলে এইসব জানা নিতান্তই জরুরী।
সাত পাঁচ না ভেবেই শুরু করে দিলে পরে আপনার সব হোস্টিং ফাইল অন্য হোস্টে সরানোর ঝামেলা পোহাতে হতে পারে। তাই আগে থেকেই সাবধানে এবং বুঝেশুনে শুরু করা ভালো। এতে নিজের টাকার সঠিক মূল্য পাবেন, দায়িত্ববান ওয়েবমাস্টার হয়ে উঠতে পারবেন, সার্চ ইঞ্জিনেও র‌্যাঙ্ক ধরে রাখতে সক্ষম হবেন।
আশাকরি আপনাদের ভাল লেগেছে।

Saturday, September 12, 2015

এবার নিজের ভাষায় ব্লগিং শিখুন।

 
ব্লগিং করতে চান কিন্তু ব্লগ কী ব্লগার কী বা কারা,এতা কীভাবে করে তাই ই যানলেন না তাহলে আপনি কীভাবে ব্লগার হবেন। তাই আপনাদের জন্য আজ নিয়ে এসেছি ব্লগার নিয়ে একটি বাংলা ই-বুক। এবার নিজের ভাষায় ব্লগিং শিখুন। এতো ব্লগে পড়েও অনেকেই ঠিক মত ব্লগিং করতে পারেন না। তাদের জন্যই আজকের এই টিপস টি। তাহলে আসুন শুরু করি
 
http://techlivebd.blogspot.com/

এই ই-বুক টির বিভাগ গুলো নীচ থেকে দেখে নিনঃ

ব্লগ কি? ব্লগার কি এবং কবে এর উৎপত্তি ?
ব্লগার কেন ব্যবহার করবেন ?
কিভাবে ব্লগারে অ্যাকাউন্ট করবেন ?
ব্লগার ড্যাশবোর্ড পরিচিতি !
ব্লগারের বিভিন্ন সেটিংস্‌ এর ব্যবহার !
ব্লগার ব্লগে এডিট এবং ইন্টারফেস এর পরিচিতি
ব্লগার ব্লগে কিভাবে টিউন লিখবেন ?
কিভাবে ব্লগার ব্লগের জন্য সঠিক থিম পছন্দ করবেন ?
ব্লগার ব্লগে কিভাবে থিম ইন্সটল করবেন ?
কিভাবে ব্লগার থিম কাস্টমাইজ করবেন ?
ব্লগার ব্লগে কিভাবে গ্যাজেট এবং ওয়েডগেট ইন্সটল করবেন ?
কিভাবে কাস্টম ডোমেইন সেট করবেন ?
ব্লগার ব্লগকে SEO ফ্রেন্ডলি করার জন্য বিভিন্ন টিপস !
কিভাবে SEO ফ্রেন্ডলি টিউন লিখবেন ?
কিভাবে ব্লগার ব্লগে সিএসএস কোড ব্যবহার করবেন ?
কিভাবে ব্লগকে দ্রুত গতি করবেন ?
কিভাবে আলেক্সাতে সাইট সাবমিট করবেন ?
কিভাবে ব্লগে ভিজিটর আনবেন ?
কিভাবে আলেক্সাতে সাইট রাঙ্ক কমাবেন ?
গুগল এনালাইটিকস কি? কিভাবে ব্লগার ব্লগ কে গুগল এনালাইটিকসে যুক্ত করবেন ?
কিভাবে একজন সফল ব্লগার হবেন ?
সর্ব শেষঃ কিভাবে ব্লগার ব্লগ দিয়ে ইনকাম করবেন ?

তাহলে আশা করি বিভাগ গুলো সম্পর্কে বুঝতে পেরেছেন। তাহলে নীচ থেকে ডাউনলোড করে নিন ই-বুক টি।

Monday, September 7, 2015

গুগলি এডসেন্স এর বিকল্প পার্ট 0১

আমরা সবাই  গুগলি এডসেন্স নিয়ে এতটাই চিন্তিত হয়ে পরেছি যে, কোন কারন বসত গুগলি এডসেন্স ডিসেবল করে দিলে এমন অবস্থা মনে হয় যেন আকাশ মাথায় ভেঙ্গে পড়েছে। অবশ্য এটাই স্বাভাবিক কারন ক্যাশ ডলার ইনকাম বন্ধ!!! সাধারনতঃ গুগলি এডসেন্স ডিসেবল করে দিলে দ্বিতীয়বার সচল হয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীন। তাই গুগলি এডসেন্স এর বিকল্প হিসাবে খুব সুনামের সহিত অনেক গুলো প্রতিষ্টান কাজ করছে তার মধ্য খেকে যে গুলো সুনামের সহিত পাবলিশার এর টাকা পে করছে এবং ভালো সুবিধা দিচ্ছে তাদের পর্যায়ক্রমে বর্ননা দিব যা সবার উপকারে আসতে পারে।এখানে উল্লেখযোগ্য গুগলি এডসেন্স এর ১৮৪টি বিকল্প (একাংশ) :

AdBrite

Clicksor

Bidvertiser

Chitika

AdToll

Exit Junction

Yahoo Publisher Network

Target Point

Fast click

ClickThruTraffic

Absolute Agency

AcceleratorMedia

ad pepper media

adagency1 *


Adconian

AdDynamix

ADEngage

Adgenta QAds

adgridwork

Adicate

Adify

AdJungle

Adknowledge *

AdlandPro

Adlink Media

AdMentum

AdMob

AdOrigin

Adperk

Ads-Click

ADSDAQ Ad Exchange

adsmarket

AdSmart

adtechnica

Adtegrity.com


Advertising.com

Advertlets

AdVolcano *

AffiliateFuel

AffiliateFuture *

Agendize

AmaSensAds

Amazon

Ampira Media

Anastasia International

Auction Ads *

AVN Ads *

Axill

AzoogleAds

Bannerconnect

BannerSpace

BardzoMedia

BClick


Bla.st

Black Label Ads *

BlinkAccess

BlogAds

BlogKits

BlueFN *

BlueLithium

BurstMedia *

BusinessLinked

buyat

Casale Media

CBprosense


Claxon *

Click2Sell

ClickBank

Clickbooth

Clickhype

YesAdvertising

clickXchange

clixGalore

CNet Shopper

Commission Junction

Commission Monster

Copernic Media

CoverClicks *

CPX Interactive

CrispAds *

CyberBounty

DarkBlue

Dragon Media Online

easyAd


১) AdBrite:  AdBrite অল্প সময়ের মধ্য advertizersএর জন্য adwords একমাত্র প্রধান বিকল্প। AdBrite বর্তমানে গুগলের adsense এর সর্বোত্তম বিকল্প।  তাদের payouts ও খুব আকর্ষণীয় । তারা Adsenseএর চেয়ে শর্তাবলী এবং অবস্থা আরও বেশি relax করেছে  এবং আরও অধিক  বেশি ব্লগাররা সহ ক্ষুদ্রতর প্রকাশকদের সাদরে গ্রহণ করছে।
আভ্যন্তরীন প্রক্রিয়া: যদি আপনি আপনার নিজের ad হার নিযুক্ত করতে একটি প্রকাশক(পাবলিশার) AdBritere হন, এবং অনুমোদন করুন অথবা প্রতি ad বাতিল করুন তাহলে আপনার স্থানের জন্য  ad ক্রয় করে অথবা AdBrite স্বয়ংক্রিয় ad  সর্বদা গ্রহণ করেছে। AdBrite এর marketplaceএর মধ্য দিয়ে sell করে এবং আপনার পরিদর্শকে ads তাৎক্ষনিকভাবে বিক্রি করে আপনাকে এখানে সক্রিয় করে সংযোগ করে এবং বিক্রয় দল গঠন করে দেয়।এড রাজস্ব আপনার পছন্দানুযায়ী ৭৫/২৫ typically বিভক্ত করে। এইচটিএমএলের একটি ক্ষুদ্র snippetএর মধ্য দিয়ে আপনার স্থানে রেখে, তারা বিক্রয় serving, scheduling, billing, গ্রাহক পরিচালনা করে। AdBrite এর বিক্রয়ের অর্ধেকের সম্বন্ধে marketplace থেকে তৈরি করা হয় এবং বিক্রয় দল গঠন করে, অন্যান্য অর্ধেকার সময় আপনার ওয়েবসাইটে ব্যবহারকারী আপনার Ad এখানে থেকে তৈরি করা হচ্ছে এবং ক্লিক করা হচ্ছে।একজন advertiser হিসেবে আপনার নিজের ad হার নিযুক্ত করতে AdBrite ব্যবহার করতে পারেন এবং একটি একক সংগঠিত প্রচারকার্য ক্রয় করার সঙ্গে ৮০, ০০০ স্থান বা আরও বেশি  পরিদর্শকের ওপর তাৎক্ষনিকভাবে পৌঁছায়।
AdBrite এর সময় ঐতিহ্যবাহী ad নেটওয়ার্ক যেমন গুগল AdSenseএর চেয়ে আরও বেশি রাজস্ব এবং ভাল adsএর সঙ্গে প্রকাশক জোগান দিতে পারে, তারা আপনার অতিথি/পরিদর্শকে ads সরাসরিভাবে বিক্রি করার মধ্যে অতিরিক্ত ad রাজস্ব তৈরি করতে আপনার জন্য একটি রাস্তা  করে দেয়। Ad Brite আপনাকে আপনার নিজের ন্যুনতম bid মূল্য ও দেওয়ায় নির্বাচন করে এবং একটি বিকল্প ad সার্ভিস দেয়।
যদি আপনি বন্ধ AdBrite run-of-network ads বদৌলেতে আপনার ওয়েবসাইট অপশনে AdBrite ব্যবহার করেন  এবং AdBrite ads কেবল প্রদর্শন করবে যে আপনার স্থানে competitors ads প্রতিরোধ করতে আপনার এড অনুমোদন করা হচ্ছে দেখা হচ্ছে। যদি আপনার কোনও ads চলন্ত নেই, তবু আপনার Ad অথবা আপনার বিকল্প ad সরবরাহকারী এখানে প্রদর্শন করবেন।
AdBrite  Blogs and Bloggers এর সাইট সাদরে গ্রহণ করছে ।
আমার অভিজ্ঞতা  বলতে পারি  আপনি AdBriteএর সঙ্গে signup করুন এবং seeing প্রাসঙ্গিক ads প্রদর্শন করতে আপনার ওয়েবসাইটে তাদের কোড রাখুন এবং যথাযথ ভাবে আয় করুন।
উপরোক্ত গুগলি এডসেন্স এর বিকল্প প্রতিষ্টান গুলোর একাংশ দেয়া হয়েছে বাকী অংশ এক এক করে পর্যায়ক্রমে প্রয়োজনীয় ধারাবাহিক বর্ননা অব্যাহত থাকবে। চলবে..............................