Online Earn, কিভাবে আপনার পেইজা একাউন্টে ফান্ড অ্যাড কিংবা ডিপোজিত করবেন? সাথে একাধিক পদ্ধতির কৌশল!! ~ Tech Live BD

Friday, September 18, 2015

কিভাবে আপনার পেইজা একাউন্টে ফান্ড অ্যাড কিংবা ডিপোজিত করবেন? সাথে একাধিক পদ্ধতির কৌশল!!

কিভাবে অ্যাড ফান্ড যোগ করবেন পেইজাতে? হ্যা বিশেষ প্রয়োজনে আমাদেরকে পেইজা একাউন্টে ফান্ড অ্যাড কিংবা ডিপোজিত করার প্রয়োজন হতে পারে। বিশেষত যারা অনেকেই অনলাইনের সাথে সম্পর্কযুক্ত এবং গেটওয়ে পেমেন্ট হিসাবে পেইজা সাপোর্ট করে সেই ক্ষেত্রে পেইজা একাউন্ট আপনার সহায়ক এবং ফান্ড যোগ করার প্রয়োজন হতে পারে।

কিভাবে পোইজাতে ফান্ড অ্যাড কিংবা অর্থ ডিপোজিত করবেন?

১। প্রথমে আপনার পেইজা একাউন্ট লগইন করুন > Add Funds অংশে যান। উল্লেখ্য এখানে প্রায় ৪ টি পদ্ধতিতে ফান্ড অ্যাড করা যাবে এবং ক্ষেত্র বিশেষ ফি প্রদান করতে হবে। তবে সহজ হিসাবে মনে করি, পেইজা একাউন্টে আপনার ব্যাংক একউন্ট অ্যাড ও ভেরিফাই করা আছে সেই হিসাবে আপনার ব্যাংক একাউন্ট হইতে সরাসরি পেইজাতে অর্থ ডিপোজিত করতে পারবেন।
২। সুতরাং Bank Account নির্বাচন করুন > নিম্নরুপ একটি চিত্র আসবে সেখানে আপনাকে টাকার সংখ্যা লিখে নেক্সট বাটনে ক্লিক করলেই ফান্ড অ্যাড হবার প্রসেস শুরু হবে। এবং ইমেইলে বার্তা পাইবেন।

 জ্ঞাতব্য বিষয়ঃ

ক। ব্যাংক একাউন্ট হইতে ফান্ড যোগ করতে সর্বনিম্ন ৫০০/৳ ডিপোজিত করতে হবে তার নিচে নই।
খ। ব্যাংক একাউন্ট হইতে ট্রান্সজেকশন এর সময় ১-২ দিন লাগতে পারে অপরদিকে পেইজাতে ফুল প্রসেস হইতে ৩-১৫ দিন সময় লাগে।
গ। ক্ষেত্র বিশেষ ব্যাংক চার্জ কাটা হতে পারে বিভিন্ন ব্যাংকের চার্জ ফি ভিন্ন রকম। যেমন ৩%-৫%। তবে আমার ইসলামি ব্যাংকের একাউন্ট অ্যাড করা আছে, ডিপোজিত করেছি পরীক্ষামূলক ভাবে ৫০০৳। কিন্তু কোন চার্জ কাটেনি!!
ঘ। ব্যাংক একাউন্ট হইতে ফান্ড যোগ করতে হলে পূর্ব হতেই আপনার পেইজা একাউন্টে ব্যাংক একাউন্ট যোগ থাকতে হবে এবং ভেরিফাই একাউন্ট হতে হবে।
ঙ। ব্যাংক একাউন্ট হইতে ফান্ড যোগ করলে তা বাংলাদেশী কারেন্সীতে যোগ হবে। তবে পরবর্তীতে তা অন্য মুদ্রাতে কনভার্ট করা যাবে (তবে এই সুবিধাটি পেইজা অচিরেই যোগ করবে)

কাজের প্রমাণাদি হিসাবে আমার কিছু চিত্র

ক। ইমেইলে বার্তা-
খ। লেনদেনের সামারি-

 ফান্ড অ্যাড করার আরো কিছু মাধ্যম

উপরের পদ্ধতি প্রয়োগ করলাম যাদের নিজস্ব ব্যাংক একাউন্ট আছে। তথাপি অন্য কোথাও ধরনা দেবার প্রয়োজন না পড়ে। এবং ব্যাংক একাউন্ট হইতে লেনদেন করলে ট্রানজেকশন কপি দেখে বুঝা যাবে কোথা হইতে, কোন তারিখে, কোন টাকার লেনদেন করেছেন।
ফান্ড সংযুক্ত করবার আরেকটি পদ্ধতি হল Over the Bank Counter। এটা শুধুমাত্র পেইজা অনুমোদিত বাংলাদেশ কমার্স ব্যাংকের অনুমোদিত শাখা গুলোতে করতে পারবেন, তাও আবার ঢাকাতে। এখানে প্রায় ২/১ ঘন্টার মধ্যই আপনার পেইজাতে ফান্ড যোগ হয়ে যাবে এবং যে কোন কারেন্সীতে ফান্ড যোগ করতে পারবনে। সাথে আপনার ভোটার আইডি, পেইজা এড্রেস, এবং গোপনীয় পিন সম্বর তাদেরকে প্রদান করতে হবে। সুতরাং বুঝতেই পারছেন এই কাজটি কতটা ঝামেলার এবং সবার পক্ষে ঢাকা যাওয়া সম্ভব নই।
আরো বেশ কিছু পদ্ধতি রয়েছে যেমনঃ কোন ক্রেডিট কার্ডের মাধ্যমে ফান্ড যোগ করা। অবশ্য সেটি তাৎক্ষনিকভাবে যোগ হবে এবং ৭% ফি প্রদান করতে হবে।

এক্সজেঞ্চার লেনদেন পদ্ধতি

এবং হ্যা কোন এক্সজেঞ্চার যদি লেনদেন করেন সেখানেও ফান্ড অ্যাড করার সুবিধা পাবেন। এক্সজেঞ্চার বলতে কোন প্রতিষ্ঠান কিংবা ব্যক্তি বুঝানো হচ্ছে। যেমনঃ আমার পেইজা একাউন্টে যথেষ্ট পরিমাণ ফান্ড আছে এবং প্রয়োজনের তাগিদে অন্য কোন পেইজা একাউন্টে কিংবা ঠিকানাতে ট্রান্সফার/লেনদেন করি তাহলে সেটাই হবে এক্সজেঞ্চার ট্রানজেকশন। এখানে এক একাউন্ট হইতে অন্য একাউন্টে ফান্ড যোগ হইতে সময় নেয় মাত্র ৩০-৬০ মিনিট। ক্ষেত্র বিশেষ ১ মিনিটের মধ্যও ফান্ড অ্যড হতে পারে। পেইজা টামর্স অনুযায়ী কোন ফি নাই।
তবে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠান যদি কমিশন চায় সেটি ভিন্ন কথা!! আরেকটি ব্যাপার যার সাথে লেনদেন করবেন একটু বুঝে শুনে করাটাই শ্রেয়! কারন, এই ক্ষেত্রে ব্যক্তি/প্রতিষ্ঠানের প্রতারনার বিষয়টাও নতুন কিছু নই।

সারকথা

পেইজাতে ফান্ড যোগ করার বিষয়ে আর তেমন কোন তথ্যাদি নাই। যা জানার বিষয় ছিল সেটা জানিয়ে দিলাম। আশা করি টিউটোরিয়ালটি অনুসরন করে অনেকেই পেইজাতে ফান্ড একাউন্ট যোগ করতে পারবেন এবং প্রয়োজনে বিশেষ কাজে লাগাতে পারবেন। তারপরেও কোন তথ্যাদি জানার থাকলে টিউমেন্ট করার আহবাণ রাখছি।
 

0 comments:

Post a Comment